চীনের উপহার হিসেবে সিনোফার্ম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া ফাইজারের টিকা দিয়ে আবারও ১৯ জুন থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এর মধ্যে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন, তারা সবাই টিকা পাবেন। ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ হিসেবে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে উপহার হিসেবে চীন থেকে ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা এবং কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকা পেয়েছে। শিগগিরই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ৮০০ ডোজ টিকা দেশে আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাতে যতটুকু ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে তা দিয়ে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম আবার চালু হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা আবার বাড়ছে। এখন থেকেই সবাইকে আবার সচেতন হতে হবে। হাসপাতালে শয্যা কম। করোনা বাড়লে সেবাও ব্যাহত হবে। তাই প্রতিরোধের ওপর জোর দিতে হবে, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
ফাইজার-বায়োএনটেক এবং সিনোফার্মের টিকার ক্ষেত্রে মেডিকেল, নার্সিং, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। টিকা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মূলত তিন শ্রেণির মানুষ এ টিকা পাবেন। প্রথমত পাবেন স্বাস্থ্য শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিক এবং বিভিন্ন বড় প্রকল্পে কর্মরত দেশি-বিদেশি কর্মীদেরও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ টিকা দেওয়া হবে। পরে অবশিষ্ট থাকলে যেসব সম্মুখসারির করোনাযোদ্ধা টিকা পাননি, তাদেরও দেওয়া হবে।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
[…] দ্বিতীয় পর্যায়ে চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন দিয়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। […]