29 C
Dhaka
April 1, 2025
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি

১০ ডিসেম্বর কেন বিএনপির সমাবেশ, সেটি বড় প্রশ্ন: তথ্যমন্ত্রী

১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য বেছে নিল, সেটি একটি বড় প্রশ্ন বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার দিন ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করে বিএনপি কি বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে চায়?’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশার দিন বিএনপির সমাবেশ কেন’ শীর্ষক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।  হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এ দেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল। ১০ ডিসেম্বর সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনসহ বেশ কয়েকজন বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানিরা ধরে নিয়ে যায়, যাঁদের পরবর্তী সময়ে হত্যা করা হয়। অর্থাৎ এই দিনে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়। ১০ ডিসেম্বরকেই বিএনপি কেন সমাবেশের জন্য বেছে নিল, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। তবে এই প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ, বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ১০ ডিসেম্বরকে তাদের সমাবেশের তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়ার কারণ হচ্ছে, যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের অনেকেই এখন বিএনপি নেতা এবং যে জামায়াতে ইসলামের মূল নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী হত্যার মিশন শুরু হয়েছিল, তারা হচ্ছে তাদের জোটের প্রধান সহযোগী। কয়েক দিন আগে বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, ‘পাকিস্তানই ভালো ছিল।’ দলের যে মহাসচিব এ কথা বলেন, তাদের আসলে এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। সুতরাং তারা নিজেরা হত্যাকারী এবং আবার নতুনভাবে হত্যাকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করার জন্যই তারা ১০ ডিসেম্বর বেছে নিয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে বিএনপির অনাগ্রহের প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, যেখানে পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিল, সেই উদ্যানে বিএনপির সমাবেশ করতে এত অনীহা কারণ, তারা তো পাকিস্তানের দোসর। পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের জায়গার চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেখানে শিশুপার্ক বানিয়েছিলেন। সে জন্য তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে চায় না। অথচ আমাদের সরকার তাদের সুবিধার্থে, তারা যাতে বেশি লোক সমাগম করতে পারে, সে জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলেছে, তাদের প্রস্তুতির জন্য ছাত্রলীগের সম্মেলন ৮ থেকে ৬ ডিসেম্বর এগিয়ে এনেছে। মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু সারা দেশে বিএনপি মাঠে সমাবেশ করেছে আর ঢাকা শহরে আসার পর আর মাঠ ভালো লাগে না। তারা চায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে যেখানে ৩০ থেকে ৫০ হাজারের বেশি লোক ধরে না অর্থাৎ তাদের সমাবেশে মানুষ হবে না এটি একটি ভয়। আরেকটি কারণ হচ্ছে রাস্তায় সমাবেশ করলে গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, প্রয়োজনমতো অগ্নিসংযোগ করা যাবে, শহরে গন্ডগোল করা যাবে, নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যাবে।’   কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ডাক্তার, শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মীরা তাদেরকে সেই কাজ করতে দেবে না উল্লেখ করেন মন্ত্রী।  তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকা শহরে অগ্নিসন্ত্রাসীদের জড়ো করে এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লাইসেন্স তাদেরকে দেওয়া হবে না। ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সতর্ক পাহারায় থাকবেন। প্রয়োজনে আগে থেকে থাকবেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজামুল হক ভূঁইয়া, শহীদ বুদ্ধিজীবীকন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবীকন্যা শমী কায়সার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও কৃষক লীগের সিনিয়র সহসভাতি শেখ জাহাঙ্গীর আলম।

সম্পর্কিত খবর

বঙ্গবন্ধুর ওপর গোপন দলিল গবেষকদের জন্য অমূল্য সম্পদ : প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করুন: প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি, শনিবারও খোলা

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত