মাত্র তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হলো সিলেট নগরী। রোববার (২ জুলাই) সকাল থেকে কিছুটা বৃষ্টি শুরু হয়।
তবে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এই বৃষ্টিতে নগরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি সবই তলিয়ে যায়। পানি প্রবেশ করে বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটেও।
অনেক সড়কে কোমর পর্যন্ত পানি দেখা যায়। নগরের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি। যারা বের হন, তাদের হাঁটু বা কোমর সমান পানি মাড়িয়ে চলাচল করেন। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধও ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা সড়ক, মদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, আখালিয়া, সুবিদবাজার, জালালাবাদ, হজরত শাহজালালের (র.) মাজার এলাকার পায়রা ও রাজারগল্লি, বারুদখানা, হাওয়াপাড়া, দাড়িয়াপাড়া, যতরপুর, ছড়ারপাড়, তালতলা এলাকা এবং ওসমানী মেডিকেল কলেজ ভবনের ভেতরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেটে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত ছিল প্রায় ১১১ মিলিমিটার। রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেটের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজিব হোসাইন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী তিন দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে। আর এভাবে ভারী বর্ষণ হলে নগরের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন নগরের বাসিন্দারা।
নগরের বাসিন্দারা এই জলাবদ্ধতার জন্য সিটি করপোরেশনের উদাসীনতাকে দায়ী করে বলছেন, গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে বর্তমান মেয়র, তার পরিষদ ও কর্মকর্তারা নগরের মানুষের সমস্যাগুলো আমলে নিচ্ছেন না। তারা অনেকটা উদাসীন। ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কারের অভাব এই জলাবদ্ধতার কারণ।