ঢাকা: জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সব খাতে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অবশ্যই সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন শ্রমসচিব মো. এহছানে এলাহী।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসন (চতুর্থ পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের আয়োজনে ‘শিশুশ্রম নিরসনে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়’ বিষয়ক সেমিনার তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
শ্রমসচিব বলেন, বাংলাদেশের একটি অন্যতম সামাজিক সমস্যা হচ্ছে শিশুশ্রম। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কর্মতৎপরতার পরেও আমাদের দেশে এখনও অনেক শিশু বেঁচে থাকার তাগিদে এ শ্রমে নিযুক্ত হয়। দেশের সরকার ও সরকারপ্রধান শিশুশ্রম নিরসনের ব্যাপারে খুবই ইতিবাচক। এজন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সব খাতে শিশুশ্রম নিরসনে সরকার অবশ্যই সফল হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুশ্রম নিরসনে সফল হতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, এনজিওসহ অন্যান্য সংস্থাসমূহ আন্তরিকতার সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার কারণে চতুর্থ পর্যায় প্রকল্পের সফল সমাপ্তি হতে চলছে। যেসব এনজিওর সততা, আন্তরিকতা, অভিজ্ঞতা ও ট্রেক রেকর্ড পরীক্ষিত তাদের ব্যাপকভাবে শিশুশ্রম নিরসনের কাজে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি পুরস্কৃত করা হবে। এজন্য পঞ্চম ধাপে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।
চলমান ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের অগ্রগতি তুলে ধরে সচিব বলেন, সব খাতের শিশুশ্রম নিরসনে আগামীতে এ প্রকল্পের আওতা বাড়ানো হবে। ২০২৫ সালের আগেই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা হবে। সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী প্রজন্মের জন্য শিশুশ্রমমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চায়।
সেমিনারে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শিশুশ্রমিকদের ডাটাবেজ তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলোকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ করে শিশুশ্রম নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানানো হয়। সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা কমছে এবং এ পর্যন্ত আটটি সেক্টরকে শিশুশ্রমমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্প পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তৌফিকুল আরিফ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।