ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে বড় এক বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল শনিবারের এই বিক্ষোভে তিন লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন। এই বিক্ষোভ প্রতিহত করতে পাল্টা বিক্ষোভে নামা ৮২ জনকে আটক করেছে লন্ডনের পুলিশ।
পাল্টা বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা দেশটির কট্টর ডানপন্থী বিভিন্ন গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা গেছে। শনিবার সেন্ট্রাল লন্ডনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর পাল্টা এ বিক্ষোভ শুরু হয়। পাল্টা বিক্ষোভে নামা ছোট ছোট একাধিক দলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। একই সঙ্গে ‘হামাসের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে’ যারা বিশাল এই বিক্ষোভে অংশ নিয়ে ‘ইহুদিবিদ্বেষী স্লোগান এবং হামাসপন্থী বিভিন্ন ব্যানার ও পোশাক পরেছিলেন’ তাদের আক্রমণ করেও বক্তব্য দিয়েছেন সুনাক।
ফিলিস্তিনের গাজায় এক মাসের বেশি সময় ধরে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এই সময়ে হামলার প্রতিবাদ ও যুদ্ধবিরতির দাবিতে একাধিকবার লন্ডনে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে শনিবার হওয়া বিক্ষোভ ছিল সবচেয়ে বড়। এ বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে লন্ডনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিশেষ করে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান বিক্ষোভকে ‘বিদ্বেষমূলক মিছিল’ বলার পর উত্তেজনা বাড়ে।
শনিবার এই বিক্ষোভ যাতে না হয় সেই পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছিল সরকার। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সেই অনুরোধ নাকচ করে বলেছিল, বিক্ষোভে বড় ধরনের সহিংসতা হওয়ার কোনো ইঙ্গিত বা আশঙ্কা নেই।তাই সরকারি অনুরোধে এ বিক্ষোভ বন্ধ করার সুযোগ নেই।
গতকাল এক বিবৃতিতে ঋষি সুনাক বলেন, ‘ আইন অনুযায়ী সব ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। গত বুধবার লন্ডন পুলিশ কমিশনারকে আমি এ কথাই বলেছি। এর জন্যই তাদের (পুলিশ বাহিনী) রাখা হয়েছে এবং (প্রধানমন্ত্রী হিসেবে) আমিও সেটাই তাদের কাছে চাই।’
পুলিশ বলছে, পাল্টা বিক্ষোভ করতে সেন্ট্রাল লন্ডনের বিভিন্ন সড়কে কয়েক শ বিক্ষোভকারীকে দেখা গেছে। কয়েকটি স্থানে এসব বিক্ষোভকারীর সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।