পারস্যের রাজা খসরুও নাকি এমন স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যর্থনা পাননি!
ইরানের টিভি চ্যানেলে কথাটা বলেছেন ধারাভাষ্যকারেরা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসছে সেটাই। সত্য-মিথ্যা যা–ই হোক, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো তো আর মিথ্যে না!
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে ইরানে গিয়েছিল আল নাসর। তাদের হলুদ রঙের টিম বাস রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশে তিলঠাঁই ছিল না! বাসের পিছু প্রচুর লোকজন দৌড়েছেন।
নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে! শুধু কি তা–ই, আল নাসরের খেলোয়াড়েরা যে হোটেলে অবস্থান করেছেন, সেটি একটি পাহাড়–লাগোয়া। ইরানের ফুটবলপ্রেমীরা রীতিমতো পাহাড় বেয়ে উঠেছেন তাঁকে একনজর দেখতে! কাকে?
কাকে আবার, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে!
ইরানে তো প্রতিদিন এত বড় তারকা ফুটবলারের পা পড়ে না। যে ম্যাচ খেলতে রোনালদো ইরানে এসেছেন, তেহরানের আজাদি স্টেডিয়ামে হওয়া সেই ম্যাচে রোনালদো অবশ্য গোল পাননি। তবে জয়ে অভিষেক হয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগে। ১০ জনে পরিণত হওয়া ইরানের ক্লাব পেরসেপোলিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের মৌসুমে শুভসূচনা করেছে আল নাসর। ৯০ মিনিট খেলে যোগ করা সময়ে বদলি হয়ে মাঠছাড়া রোনালদোও দারুণ এক মাইলফলকের দেখা পেয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, এ নিয়ে ১০০০ পেশাদার ম্যাচে অপরাজিত রইলেন রোনালদো (ড্র ও জয়)। নিজ দলের হয়ে ৭৭৬ জয়ের পাশাপাশি ড্র করেছেন ২২৪ ম্যাচ।
আল নাসরের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন রোনালদো। আজাদি স্টেডিয়ামে একটি সুবিধাও পেয়েছে তাঁর দল। ২০২১ সালে পেরসেপোলিস সমর্থকদের এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। সে কারণে আল নাসরের বিপক্ষে কাল রাতের ম্যাচে পেরসেপোলিসকে গ্যালারিতে বসে সমর্থন দিতে পারেননি ক্লাবটির সমর্থকেরা। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে দর্শক ছাড়াই। তাতে স্বাগতিক সমর্থকদের তুমুল সমর্থনে উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারেনি পেরসেপোলিস। প্রথমার্ধ গোলশূন্য ব্যবধানে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি পেয়েছে আল নাসর।