যুক্তরাজ্য বিকল্প জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়া ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎকালে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের একথা জানান। বৈঠকে তাঁরা জলবায়ু, বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেন বলে প্রেস সচিব জানান।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী সবুজ জ্বালানির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুতসহ এ অঞ্চলে সবুজ জ্বালানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক গ্রিড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জলবিদ্যুত বিতরণ করা যেতে পারে। জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি।’
তারিক আহমেদ সোলার এনার্জির ওপর গুরুত্বারোপ করলে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন সোলার সংযোগ দিয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বলেন, তারা চান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে তাদের স্বদেশে ফিরে যাক। তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন, তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের ক্যাম্পে গোলযোগের জন্য তাদের লোককে দায়ী করেছেন। তিনি তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘ক্যাম্পে গোলযোগের জন্য কোন বাংলাদেশী দায়ী নন।’
শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীকে বলেন, কিছু রোহিঙ্গাকে একটি দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে ফিরে যাওয়ার পর তাদেরকে যাতে বোঝা হিসেবে গণ্য না করা হয় সেজন্য তাঁর সরকার রোহিঙ্গাদের কাজ, যথাযথ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন উপস্থিত ছিলেন।