রাচিন রবীন্দ্র—নামেই পরিচয়! রাহুল দ্রাবিড়ের ‘রা’ ও শচীন টেন্ডুলকারের ‘চিন’। ভারতীয় একটা ঘ্রাণ নামেই পাওয়া যায়। ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে নব্বই দশকে নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে পাড়ি জমিয়েছিলেন রাচিন রবীন্দ্রর বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি ও মা দীপা কৃষ্ণমূর্তি। পরের গল্প তো সবারই জানা।
ক্রিকেটার হয়ে ওঠা রবীন্দ্র নিউজিল্যান্ডের হয়ে এখন ভারতে বিশ্বকাপ আলো করছেন। বেঙ্গালুরুতে পরশু নিজের শিকড়েও ফিরে গিয়েছিলেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কা–নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পর বেঙ্গালুরুতে নিজের নানা-নানির বাসায় গিয়েছিলেন রবীন্দ্র। বেঙ্গালুরুতে তাঁর নানা-নানি থাকেন, এটি দাবি করেছে আরেকটি সংবাদমাধ্যম ‘ওয়ান ইন্ডিয়া’। সংবাদমাধ্যমটি অবশ্য দাবি করেছে, নানা-নানির বাসায় রবীন্দ্র শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে গিয়েছিলেন। ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার এ নিয়ে গতকাল একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ নিজের হ্যান্ডলে।
ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা মোজা, শর্টস ও কালো টি-শার্ট পরে সোফায় বসে আছেন রবীন্দ্র। সাদা কাপড় পরা একজন বৃদ্ধা তাঁর সামনে মন্ত্র পড়ে কিছু অর্চনা করছেন। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রবীন্দ্রকে যাবতীয় অমঙ্গল থেকে রক্ষায় এই অর্চনা করেছেন তাঁর নানি, বাংলায় অর্চনাটির অর্থ দাঁড়ায় ‘নজর না লাগুক।’
ক্যাপশনে রবীন্দ্র লিখেছেন, ‘এমন অসাধারণ পরিবার পেয়ে নিজেকে আশীর্বাদপুষ্ট লাগছে। নানা-নানিরা দেবদূতের মতো, যাঁদের স্মৃতি ও আশীর্বাদ সব সময় আমাদের সঙ্গেই থাকে।’