‘মাঙ্কিপক্স’ প্রতিরোধে দেশের প্রতিটি বন্দরে (স্থল, নৌ এবং বিমান) বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বের ১২ টি দেশে ভাইরাসজনিত বিরল রোগ মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশ এই সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ও স্থল বন্দর সমূহে আক্রন্ত দেশ হতে আগত যাত্রীদের উপর সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং হেলথ স্কিনিং জোরদার করতে হবে।’
চিঠিতে আর বলা হয়, যে সব রোগীদের মধ্যে ফুসকুড়ি দেখা যায় এবং সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নিশ্চিত কেস আছে এমন দেশগুলিতে ভ্রমন করেছেন অথবা এমন কোন ব্যক্তি বা লোকের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাদের একই রকম ফুসকুড়ি দেখা গেছে বা নিশ্চিত বা সন্দেহ জনক মাঙ্গিপক্স রোগী হিসাবে শনাক্ত হয়েছেন এমন রোগীদেরকে মাঙ্কিপক্সের জন্য সন্দেহ জনক রোগীর তালিকায় আন্তভুক্ত করতে হবে। সন্দেহজনক ও লক্ষণ যুক্ত রোগীকে নিকস্টস্থ সরকারি হাসপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ঢাকায় আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা ও আইইডিসিআর এ তথ্য প্রেরণ করতে হবে।
মাঙ্কিপক্স ‘নতুন কোনো রোগ নয়’ জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, এ ধরনের রোগী পশ্চিম আফ্রিকা বা মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে আগেও ধরা পড়েছে। সেখানে এই রোগকে এনডেমিক (সাধারণ রোগ) হিসেবে ধরা হয়। তবে সম্প্রতি এসব দেশে ভ্রমণের ইতিহাস নেই, ইউরোপ ও আমেরিকায় বসবাসকারী এমন ব্যক্তিদের মধ্যে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে।