অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ রাজনীতি সর্বশেষ

ভোটের মাঠের সহিংসতা রোধে রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে: সিইসি

ভোটের মাঠের সহিংসতা রোধে রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ভোটের মাঠের সহিংসতা রোধে রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ ভোটের মাঠের খেলোয়ার হচ্ছে রাজনৈতিক দল।

রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ভোটের মাঠের সহিংসতা রোধে আপনাদের দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ আপনারা মাঠে যাবেন। মাঠে খেলবেন, আমরা রেফারি।

গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন উল্লেখ করে এনডিএম দলের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাচ্ছি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের দায় আমাদের উপরে চাপাবেন না। আমরা আমাদের নির্বাচনের দায়টা বহন করবো।’

এর আগে সকালে সূচনা বক্তব্যে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা বহুবার বলেছি, যে সকল রাজনৈতিক দল বিশেষত প্রধানতম দলগুলোর নির্বাচনে অংশ নেয়া খুবই প্রয়োজন। কোনো দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অবশ্যই বাধ্য করতে পারবো না। তবে সকল দলকে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে আমরা বারবার আহ্বান করে যাবো। সে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকেও আপনাদের মাধ্যমে সকল দলকে আহ্বান জানাচ্ছি সক্রিয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা না থাকলে জনমতের সঠিক প্রতিফলন হয় না। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্ব›িদ্ধতা মাঠ পর্যায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব ও পেশি শক্তির প্রয়োগ ও প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

নির্বাচন কমিশন সকলের অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে নির্বাচন করতে চায়। অন্যথায় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের প্রয়াস যতই আন্তরিক হোক, ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। সেটা কাম্য নয়।’

সিইসি বলেন, বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। একটি মাত্র দল ৩০০টি আসনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সাংবিধানিকভাবে কোনো বাঁধা নেই। তবে ইতিহাস বলে সেক্ষেত্রে অচিরেই গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হবে। স্বৈরতন্ত্র মাথা জাগিয়ে তুলবে। গণতন্ত্রের আরাধ্য পুনরুদ্ধার হয়ে পড়বে দুরুহ।

তিনি বলেন, ‘আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে নানাবিধ আশা, হতাশা ও তর্ক-বিতর্ক চলছে। বিতর্কগুলো নিরসন হওয়া প্রয়োজন। ইতিপূর্বে কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা কয়েকটি উন্মুক্ত সংলাপ করেছি। এতে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মতামত ব্যক্ত করা হয়েছে। কমিশনের সক্ষমতা ও সাধ্যের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা নির্ধিদায় তা স্বীকার করে নিয়ে কারণগুলো বারবার ব্যাখ্যা করে বলেছি।’

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএম নিয়ে পাঁচ-সাতটি কর্মশালা করার পর রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এবং বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে উন্মুক্ত সভা করেছি। কেউ কোনো ত্রুটি দেখাতে পারেনি। ইভিএম এবং ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচনে তুলনামূলক সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।

এতো কিছুর পরেও অপপ্রচার সমানে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইভিএম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সংশয় থেকেই যাচ্ছে। আমরা সত্যি উদ্বিগ্ন হচ্ছি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অনিয়ম, সহিংসতা, ব্যালট পেপার ছিনতাই হলে প্রতিরোধ কতটা সম্ভব হবে। আমাদের প্রত্যাশা জাতীয় নেতৃবৃন্দ ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নিবিড়ভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা ও মতৈক্য হয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর নিরসন করে আগামী সাধারণ নির্বাচনের জন্য অনকূল পরিবেশ ও সমতল ভিত্তি সৃষ্টি করবেন।

আমরা নির্বাচন করতে চাই অনুকূল পরিবেশ ও শক্ত ভিত্তির ওপর, এজন্য সকলের সহায়তা কাম্য উল্লেখ করে সিইসি বলেন, অরাজনৈতিক সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিগণ সংগঠিত হয়ে এগিয়ে এসে জাতির একটি সংকটময় মূহুর্তে তাদের প্রজ্ঞা ও জ্ঞান প্রয়োগ করে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সংলাপে আহ্বান করে আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক মতৈক্য সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারেন।

সম্পর্কিত খবর

‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ স্বর্ণপদকে ভূষিত অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ

gmtnews

ইসরায়েল আক্রমণে হামাসের দুটি উচ্চমান প্রধান নিহত

Hamid Ramim

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করলেন রওশন এরশাদ

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত