যে কোনো সময় তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে ঘটাতে পারে বন্যা। এরই মধ্যে নদীর পানি বৃদ্ধিতে তিস্তা চরের কয়েকশ’ একর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উজানের পানি ও আষাঢ়ের বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি, গোলমুন্ডা, শৌলমারী ও কৈমারী এলাকার তিস্তা নদীর চরসহ লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
তিস্তার ঝাড়শিঙ্গেশ্বর চরের কয়েকজন কৃষক জানান, পানিতে ধানের বীজতলা তলিয়ে গিয়ে বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বর্ষা মৌসুমে ধান রোপণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সেখানকার কৃষকরা।
এ ব্যাপারে ডালিয়া ডিবিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘উজানের পানি ও বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা তিস্তা ব্যারাজের ৪৪ স্লুইচগেট খুলে রেখেছি। রাতে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ’
ডালিয়া পয়েন্টে গেজ রিডার জানান, উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আমরা ভারতের দো-মহনী তিস্তা পয়েন্টে ওয়্যারলেন্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ভারতের দো-মহনী পয়েন্টে তারা হলুদ সংকেত জারি করেছে। তিস্তার পানি ভারতের ওই পয়েন্টেও বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা হলুদ সঙ্কেত ঘোষণা করেছে।