পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রমিজ রাজা কয়েক মাস আগে পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে এক চতুর্দেশীয় সিরিজের প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন। সে ধারণাটা তখন ধোপে টেকেনি। তবে অস্ট্রেলিয়া এখন আবার তেমন কিছু আয়োজন করতে চায়। তাতে ইংল্যান্ডের জায়গা নেই, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে হতে পারে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ।
সম্প্রতি পাকিস্তান সফররত অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট প্রধান নিক হকলি জানিয়েছেন বিষয়টা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে ত্রিদেশীয় সিরিজের ধারণাটা আমার ভালো লেগেছে। অতীতে এটা বেশ কার্যকরি ছিল। আমরা ম্যাচ আয়োজনের বিষয়ে মুখিয়ে থাকব। অস্ট্রেলিয়ায় ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশেরই বড় একটা জনসংখ্যা বসবাস করে। আর এই প্রতিযোগিতাটা বিশ্ব ক্রিকেটের সবাই দেখতে চায়। ভবিষ্যতে এমন কোনো সুযোগ এলে আমরা সেটা আয়োজন করতে পছন্দই করব।’
গত জানুয়ারিতে পিসিবি প্রধান রমিজ রাজা চার দেশের সিরিজ আয়োজনের প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন। তবে সেটা সাধারণ কোনো টুর্নামেন্টের ধারণা ছিল না। পিসিবি প্রধান জানিয়েছিলেন, এই টুর্নামেন্টের জন্য আলাদা একটা প্রতিষ্ঠান থাকবে আইসিসিতে, যার আয় আবার শুধু চার বোর্ডেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, যাবে আইসিসির প্রত্যেক বোর্ডই।
তিনি তখন বলেছিলেন, ‘আমি আইসিসিতে নতুন একটা লিমিটেড কোম্পানির প্রস্তাব দিচ্ছি, যা চার দেশীয় এই সুপার সিরিজ আয়োজন করবে, যার জন্য একজন প্রধান কার্যনির্বাহীও থাকবেন। পুলিং এর নতুন কাঠামো থাকবে, আয়ের ভাগের ক্ষেত্রেও থাকবে নতুন কিছু। টাকাটার একটা বড় অংশ যাবে আইসিসিতে থাকা বোর্ডগুলোতে। সেজন্যে এফটিপিতে আলাদা একটা উইন্ডো খুলতে হবে আমাদের।’
ভারত আর পাকিস্তান ২০১৩ সালের পর থেকে আর দ্বিপাক্ষিক সিরিজে খেলেনি। তবে আইসিসি টুর্নামেন্ট আর এশিয়া কাপের মতো জায়গায় বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। রমিজের প্রস্তাবে দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল।
তবে ভারত বিষয়টাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিসিসিআইয়ের ব্যাখ্যা ছিল, ‘আইপিএলের উইন্ডো প্রশস্ত হচ্ছে, প্রতি বছর আইসিসি ইভেন্ট হচ্ছে। এর ফলে এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলো রক্ষা করা, যেখানে গুরুত্ব থাকবে টেস্ট ক্রিকেটেরও।’
এরপর গেল মাসে বিসিসিআই কর্তা জয় শাহ রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রমিজের ধারণাটাকে আবারও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটকে অলিম্পিকে দেখতে মুখিয়ে আছি আমি। আমাদের খেলাটাকে আরও বড় করতে এটা সাহায্য করবে। খেলাটাকে ছড়িয়ে দেওয়াটা একটা চ্যালেঞ্জ। আর স্বল্পমেয়াদি ব্যবসায়িক সাফল্যে মনোযোগ না দিয়ে আমাদের এতেই বেশি চেষ্টা করতে হবে।’