বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অঘটন? অনেকের সেটাই দাবি। গতকাল দিল্লিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। জয়টা আফগানদের জন্য নিঃসন্দেহে অবিস্মরণীয়।
তবে সময়টা তাঁদের ভালো যাচ্ছে না। কয়েকটি ভূমিকম্পে আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশ তুমুলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে হাজারো মানুষ, অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি তো আছেই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় আফগানদের এই দুঃখ-কষ্ট কিছুটা হলেও উপশম করবে বলে আশা করেছেন আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান।
আফগানিস্তানের মানুষের ক্রান্তিকালীন সময়ে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন রশিদ খান। ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা দখলের পর ইংল্যান্ড থেকে শান্তির আহ্বান জানিয়েছিলেন রশিদ খান। আর হেরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর বলেছিলেন, বিশ্বকাপের ম্যাচ ফি ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দেবেন। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর জন্মভূমি আফগানিস্তানে বড় উদ্যাপনই আশা করছেন রশিদ খান।
ম্যাচ শেষে স্টার স্পোর্টসকে বলেছেন, ‘দেশে বড় উদ্যাপনই হবে। আমরা তো এমন জয় খুব বেশি পাইনি। আর উদ্যাপন করার মতো পরিস্থিতিতেও নেই আফগানিস্তানের মানুষ। ক্রিকেট তাঁদের অনেক সুখের উৎস। আমরা অনেক ম্যাচ হেরেছি, তবু তাঁদের কাছ থেকে যতটা সমর্থন পাই…আমরা এই পর্যায়ে (বিশ্বকাপ) খেলতে পারায়ও তাঁরা রোমাঞ্চিত।’
রশিদ এরপর বলেছেন, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়টা অনেক বড়। দেশের মানুষ নিশ্চয়ই গর্বিত। কিছুদিন আগে হেরাতে ভূমিকম্প হয়েছে, যেখানে অনেক মানুষ মারা গেছেন। ৩ হাজারের বেশি। প্রায় ২ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। এই জয় হয়তো তাঁদের মুখে একটু হলেও হাসি ফোটাবে। কষ্টের দিনগুলো ভুলতে সাহায্য করবে।’
আফগানিস্তানের জয়ে রশিদ ব্যাটে-বলে নিজেও দারুণ ভূমিকা রেখেছেন। দলের ২৮৪ রানের পুঁজিতে আটে নেমে রশিদের অবদান ২২ বলে ২৩। পরে ইংল্যান্ডকে ২১৫ রানে অলআউট করার পথে বল হাতে নিয়েছেন ৩৭ রানে ৩ উইকেট। তবে বোলিংয়ের চেয়ে ব্যাটিংয়ে ২৩ রানকেই বড় করে দেখছেন রশিদ, ‘৩ উইকেটের চেয়ে ২৩ রানই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে মার্ক উডকে কাভার ড্রাইভ মারার পর খুব ভালো লেগেছে।’