আজ বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছে। বিদেশগামী এসব শিক্ষার্থীদের টিকাদানের তারিখ যাতে এগিয়ে আনা যায় সে বিষয়টিও উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।
উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া এবং সুরক্ষা অ্যাপে তাদের অগ্রাধিকারের বিষয়ে গত ৪ জুলাই পদক্ষেপ জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জেনে রাষ্ট্রপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছিল। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ তথ্য জানতে চান।
টিকা দেয়ার বিষয়টি সুরাহার জন্য গত বুধবারও বিদেশগামী শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা মন্ত্রণালয়ে ভিড় করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি হয়েছিল ক’দিন আগে। অবশ্য পরে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় করোনার মধ্যেও পররাষ্ট্র দপ্তরে ভিড় বাড়ছিলো।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে দুটি বিষয় দেখতে হচ্ছে। চীনের নির্দেশনায় বলা আছে, যারা সে দেশে পড়তে যাবেন, তাদের সিনোফার্মের টিকা নিয়ে যেতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের নীতিগত সম্মতি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে চীনের টিকাও রয়েছে। আবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা বা ইউরোপসহ পশ্চিমের অনেক দেশই সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দেয়নি। সে সব দেশে যাওয়া শিক্ষার্থীদের ফাইজার ও মর্ডানার টিকা দিতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব জানান, সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যাতে এসব শিক্ষার্থীর টিকা দেওয়া নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া বিদেশ যাওয়ার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়া শিক্ষার্থীরা যাতে তাড়াতাড়ি টিকা পান, সেটিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করে জানানো হয়েছে।
পশ্চিমের দেশগুলোতে কত শিক্ষার্থী যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, সঠিক সংখ্যাটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই সংখ্যা এক থেকে দুই হাজার হতে পারে।
ইউরোপ. আমেরিকা, কানাডাসহ পশ্চিমের দেশগুলোতে যাওয়ার সমুদয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে হাজারো শিক্ষার্থী টিকার অপেক্ষায় রয়েছেন।