অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা বিনোদন বিশ্ব সর্বশেষ

বাবর-আফ্রিদিদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচ রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে

রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়াম! করোনাকালে ক্রীড়াঙ্গনে বহুল ব্যবহৃত শব্দযুগল এটি। করোনার প্রাদুর্ভাব কমাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২০২০ ও ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে বেশির ভাগ খেলা হয়েছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। সে সময় পাকিস্তান ক্রিকেট দলকেও জৈব সুরক্ষাবলয়ে থেকে খেলতে হয়েছে।

মহামারির ধাক্কা সামলে অনেক আগেই ‘নতুন স্বাভাবিকে’ ফিরেছে ক্রীড়াঙ্গন। খেলা হচ্ছে দর্শকপূর্ণ মাঠেই। কিন্তু এত দিন পর ক্রিকেটে আবার ‘রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়াম’ কথাটা মনে করিয়ে দেওয়ার কারণ পাকিস্তান।

নাহ, এবার করোনার সংক্রমণ নয়। কারণটা নিরাপত্তাজনিত। একাধিক ধর্মীয় উৎসবের কারণে পাকিস্তান দলকে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয়—কদিন আগে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিল ভারতের তেলাঙ্গানা রাজ্যের হায়দরাবাদ পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কাছে সূচি বদলানোর অনুরোধ জানিয়েছিল হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)। বিসিসিআই সে অনুরোধ রাখতে না পারলেও একটা সমাধানে পৌঁছেছে।

পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ২৯ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচটা রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামে খেলবে পাকিস্তান। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ধর্মীয় অনুষ্ঠান গভীর রাত পর্যন্ত চলবে। তাই স্থানীয় পুলিশ এই ম্যাচে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তবে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে যাওয়া-আসা পর্যন্ত দুই দলকেই পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

বাবর আজম-শাহিন আফ্রিদিদের প্রস্তুতি ম্যাচটাও টিকিট কিনে দেখতে হতো দর্শকদের। অনেক দর্শক এরই মধ্যে টিকিট কিনেও ফেলেছেন। বিনোদনভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘বুকমাইশো’কে এবারের বিশ্বকাপ টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিসিসিআই জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে পরামর্শ করে দর্শকদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

২৬ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হায়দরাবাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ঈদ–এ মিলাদুন্নবী (সা.)–এর অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের গণেশ বিসর্জন অনুষ্ঠান। টানা তিন দিন দুটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দায়িত্ব পালনের পরদিনই পাকিস্তানের ম্যাচে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিল হায়দরাবাদ পুলিশ।

শুধু বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচই নয়, মূল পর্বেও বাবর-আফ্রিদিদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিজেদের অক্ষমতার কথা জানিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। এ ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে তারা দেখিয়েছিল টানা ম্যাচের চাপ। রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে আগামী ৯ অক্টোবর নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস ও পরদিন ১০ অক্টোবর পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের সূচি রাখা হয়েছে। দুটি ম্যাচই দিবারাত্রির।

এর অর্থ হলো, ম্যাচ খেলতে নিউজিল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস দল হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে আসা থেকে ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরা পর্যন্ত গভীর রাত হয়ে যাবে। এতক্ষণ দায়িত্ব পালনের পর খুব একটা বিশ্রামের সুযোগ পাবেন না নিরাপত্তাকর্মীরা। পরদিন সকাল থেকে আবারও গভীর রাত পর্যন্ত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই ম্যাচগুলোয় খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কী করা হবে, সেই সিদ্ধান্ত এখনো জানায়নি বিসিসিআই।

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ও মূল পর্ব মিলিয়ে ১১ ম্যাচের ৪টিই রাখা হয়েছে হায়দরাবাদে। প্রস্তুতি পর্বে বাবর-আফ্রিদিদের অন্য ম্যাচটি ৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই ভেন্যুতে তাঁদের মূল পর্বের আরেক ম্যাচ ৬ অক্টোবর, প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।

সম্পর্কিত খবর

শিশুদের খেলাধূলায় উৎসাহিত করুন: প্রধানমন্ত্রী

gmtnews

সারাকে নিয়ে আম্বানির অনুষ্ঠানে শুবমান গিল

Shopnamoy Pronoy

কনওয়ে-রাচিনের সেঞ্চুরিতে হেসেখেলে জিতল নিউজিল্যান্ড

Zayed Nahin

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত