অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট পাকিস্তানের জন্য এমনিতেই বিভীষিকাময় স্মৃতির। পার্থে প্রথম টেস্টে ৩৬০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে সেটির দৈর্ঘ্যই বেড়েছে আরেকটু। দু-একটি ব্যক্তিগত অর্জন ছাড়া দল হিসেবে সে অর্থে লড়াই-ই করতে পারেনি তারা। তারকা ব্যাটসম্যান ও সদ্য সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম, প্রধান পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি বা অধিনায়ক শান মাসুদ—নিষ্প্রভ ছিলেন সবাই। তাঁদেরকে এবার কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজা।
রমিজের মতে, অধিনায়ক হিসেবে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ব্যাট হাতেই কিছু করে দেখাতে হবে মাসুদকে। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩২ রান করা পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ককে নিয়ে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে রমিজ বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে, নেতা হিসেবে শান মাসুদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কারণ, এ সিরিজটি কঠিন হতে যাচ্ছে তার জন্য। যতক্ষণ না ব্যাটিংয়ে সে কিছু করে দেখাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ড্রেসিংরুমে বা প্রতিপক্ষের কাছে সে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না।’
একই সঙ্গে সাবেক অধিনায়ক বাবরকে নিয়ে রমিজ বলেছেন, ‘একইভাবে বাবর আজমকে বসিয়ে উৎসাহ দিতে হবে। জানি না, অধিনায়ক না হওয়াতে ব্যাটিংয়ে প্রভাব পড়বে কি না। অধিনায়ক হলে আপনি উজ্জীবিত থাকেন, কারণ উদাহরণ তৈরি করতে হবে। আর অধিনায়কত্ব চলে গেলে চুপচাপ হয়ে যান।’
বাবর দুই ইনিংস মিলিয়ে করেন ৩৫ রান, পাকিস্তান তো দ্বিতীয় ইনিংসে থামে ৮৯ রানেই। সব মিলিয়ে ব্যাটিং নিয়ে রমিজের মত, ‘কঠিন কন্ডিশন ছিল, কিন্তু আপনি যদি এ মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করেন যে এখনই আউট হবেন, তখন নেতিবাচক মানসিকতা চলে আসে। ফলে আপনি আক্রমণাত্মক করতে পারবেন না। কঠিন সিরিজ হতে যাচ্ছে। তবে লড়াই তো করাই যায়।’
৮৯ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতাও বড় হয়ে আসছে। তবে দুই ইনিংসে তাদের বোলাররা নিতে পেরেছেন ১৫টি উইকেট, বিপরীতে কঠিন উইকেটেও অস্ট্রেলিয়া তুলেছে ৭২০ রান। নাসিম শাহর অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানের পেস আক্রমণের বড় দায়িত্ব নিতে হতো শাহিন শাহ আফ্রিদিকে, যদিও তিনি নেন প্রতি ইনিংসে ১টি করে উইকেট।
শাহিনকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে, পিসিবির সাবেক চেয়ারম্যান রমিজ বলেছেন এমন, ‘শাহিন আফ্রিদিকে নেতৃত্বস্থানীয় বোলার হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে। জায়গা পূর্ণ করার মতো বোলার হিসেবে খেলছে, এমন তো নয়। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন বেশ ভালো। এখানেও, বিশেষ করে পার্থে যদি আপনি জাদু দেখাতে না পারেন, তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠিত যে ভাবমূর্তি তা ক্ষুণ্ণ হয়। তাকে আক্রমণের নেতা হয়ে উঠতে হবে।’