অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ বিশ্ব সর্বশেষ

বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিশ্বে সমাদৃত: প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষের কাছে নৌকার কোনো বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সাম্প্রতিক বিদেশ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন বিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশ কখনোই ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত ঋণের ফাঁদে পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিত ভাষণে বলেন, তাঁর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বব্যাংকের প্রধানসহ সবাই তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করতে তাঁর সরকারের প্রতি তাঁদের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর জাপান সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সম্রাট দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীরতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্রুততম সময়ে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি সম্পাদন, বিগ-বি প্রকল্পের মাধ্যমে আঞ্চলিক যোগাযোগ জোরদারকরণ, অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, জাপান ওভারসিজ কো–অপারেশন ভলান্টিয়ার প্রকল্প পুনরায় চালু করা, বাণিজ্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগ, মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, ঢাকা-টোকিও সরাসরি বিমান চলাচল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। জাপান সরকার বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন বাজেট সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে মোট আটটি চুক্তি ও সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও জাপানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কৌশলগত অংশীদারত্বে উন্নীত হয়েছে।  যুক্তরাষ্ট্র সফর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের আমন্ত্রণে তিনি গত ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটনে পৌঁছান। ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজ ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। জর্জিয়েভা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি মহামারিকালেও বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশংসা করেন। আইএমএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সব বাধাবিপত্তি মোকাবিলা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের মতো নেতৃত্ব প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে অভিহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১ মে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিযাত্রায় বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং উন্নয়ন অভিযাত্রায় বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অনুষ্ঠানে বলেছি, বাংলাদেশের বর্তমান সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয়। বাংলাদেশ কখনোই ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত ঋণের ফাঁদে পড়েনি।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকার ৫টি ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের ওয়াশিংটন সফর উন্নয়নের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সুসংহত অংশীদারত্বের প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী লিখিত বক্তব্যে বলেন, তিনি ৪ থেকে ৮ মে যুক্তরাজ্য সফর করেন। তিনি ৫ মে বাকিংহাম প্যালেসে রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলার অভ্যর্থনা এবং ৬ মে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাজা ও রানির রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। মার্লবরো হাউসে অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে রাজার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ ছাড়া ৫ মে মার্লবরো হাউসে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল আয়োজিত কমনওয়েলথ লিডার্স ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। একই দিন মার্লবরো হাউসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগণকে সরকারি খরচে বাড়ি দেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমি যুক্তরাজ্যের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সঙ্গে ৭ মে কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারোনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি আমাকে কমনওয়েলথের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ডিজিটালাইজেশন, ই-গভর্ন্যান্স ইত্যাদি বিষয়ে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসা করেন এবং এসব খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কমনওয়েলথের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে বিনিময়ের অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ ছাড়া কমনওয়েলথে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় হবে বলে আমার বিশ্বাস।

 

সুত্রঃ বাসস

 

সম্পর্কিত খবর

বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

gmtnews

আজ পবিত্র হজ

News Editor

তালেবানের দখলে আফগানিস্তানের তৃতীয় প্রাদেশিক রাজধানী

News Editor

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত