খেলা শুরুর আগে সবার চোখ ছিল ইন্টার মায়ামির লাইনআপের দিকে। লিওনেল মেসির ফেরা না–ফেরা নিয়েই ছিল যত কৌতূহল। অবশেষে স্কোয়াডে দেখা গেল মেসির নাম। যদিও মূল একাদশে নয়, মেসি ছিলেন বেঞ্চে। চোট থেকে ফিরে সরাসরি একাদশে থাকবেন, এমন প্রত্যাশা হয়তো খুব বেশি সমর্থকের ছিলও না। প্রথমার্ধে বেঞ্চে বসেই কাটালেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। থমাস আভিলেসের বদলি হিসেবে মেসি মাঠে নামলেন ম্যাচের ৫৫ মিনিটে।
তবে মেসির ফেরাও পারেনি ইন্টার মায়ামিকে জাগিয়ে তুলতে। উল্টো আলভারো বারেলের গোলে ৭৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ফ্লোরিডার দলটি। এরপর চেষ্টা করেও আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি মায়ামি। শেষ পর্যন্ত সিনসিনাটির কাছে হারতে হয়েছে ১-০ গোলে। আর এ হারে শেষ হয়ে গেছে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) ইন্টার মায়ামির প্লে-অফ খেলার স্বপ্নও।
হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে আগের ৬ ম্যাচের ৫টিতেই দলের বাইরে ছিলেন মেসি। যে একটি ম্যাচে খেলেছেন, সেটিতেও তিনি মাঠে ছিলেন মাত্র ৩৬ মিনিট। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচগুলোতে মেসিকে না পাওয়ায় মূলত কাল হয়েছে ইন্টার মায়ামির জন্য। মেসির অনুপস্থিতিতে মাত্র ১টি ম্যাচ জিততে সক্ষম হয়েছে তারা। তবে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও মেসির খেলায় জড়তা ছিল স্পষ্ট। যে সময়টুকু মাঠে ছিলেন, তাতে তাঁর অবদান ছিল দুটি ফ্রি কিক। ৫৮ মিনিট ও যোগ করা সময়ের সেই ফ্রি কিকগুলোও চলে গেছে সিনসিনাটি গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে।
এই হারের পর ৩২ ম্যাচে ৯ জয়, ৬ ড্র ও ১৭ হারে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ১৪ নম্বরে থাকল ইন্টার মায়ামি। পরের দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট পেলেও তা আর ইন্টার মায়ামির প্লে–অফ খেলার জন্য যথেষ্ট হবে না। তাই এমএলএসের প্লে–অফ খেলার যে অসম্ভব ব্রত নিয়ে মেসি শুরু করেছিলেন, তা শেষ পর্যন্ত অধরায় থেকে গেল। অবশ্য আন্তর্জাতিক বিরতিতে গিয়ে গত মাসে চোটে না পড়লে পরিস্থিতি অন্য রকম হলেও হতে পারত।
এখন এমএলএসে হাতে থাকা দুই ম্যাচ থেকে ইন্টার মায়ামির আর পাওয়ার কিছু নেই। ইন্টার মায়ামি তাদের পরের ম্যাচ খেলবে ১৮ অক্টোবর, কিন্তু সেই ম্যাচে দেখা যাবে না মেসিকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে খেলতে তখন জাতীয় দলের সঙ্গে থাকবেন সাবেক এই বার্সেলোনা তারকা। ১৮ অক্টোবরই পেরুর বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আছে আর্জেন্টিনার।