অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বিশ্ব সর্বশেষ

পানি ব্যবস্থাপনায় যৌথ নীতির আহবান জানালেন মধ্য এশিয়ার নেতারা

মধ্য এশিয়ার নেতারা শুক্রবার কাজাখস্তানে এক বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে তারা পানি নিয়ে একটি যৌথ নীতির বিষয়ে একমত হওয়ার চেষ্টা চালান। মধ্য এশিয়া এমন একটি অঞ্চল, যেখানে সম্পদ স্বল্পতা মাঝে মধ্যেই বিরোধের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

পানি প্রবাহে বাধা দেয়া, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ, পাঁচটি মধ্য এশিয়ার দেশে একটি নিয়মিত ঘটনা। এই পাঁচটি দেশ হলো; কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান। এই দেশগুলোর ৮০ শতাংশ অঞ্চল মরুভূমি এবং তৃণভূমি।

কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ত তোকায়েভ এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করেন। তার ওয়েবসাইটে বলা হয়, তোকায়েভ বলেছেন, পানির সমান ও ন্যায্য ব্যবহার ভিত্তিক একটি পানি-নীতি প্রয়োজন। যার মধ্যে, নীতি মেনে চলার জন্য কঠোর বাধ্যবাধকতা থাকবে।

মধ্য এশীয় রাষ্ট্রগুলোতে এখেনো সোভিয়েত যুগের মতো করেই পানি ভাগাভাগি করা হয়। আর এ জন্য বিভিন্ন সমস্যা মোকাবেলা করতে হয় দেশগুলোর। সমস্যার মধ্যে রয়েছে; যে দেশে বেশি পানি রয়েছে, সেই দেশ জ্বালানি সমৃদ্ধ দেশগুলো থেকে বিদ্যুতের সঙ্গে পানি বিনিময় করে।

অন্য দেশের তুলনায়, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তানে বেশি পানি রয়েছে। তবে, পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রায়শই দেশ দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির জাপারভ শুক্রবার “সীমিত পরিমাণ পানি-সম্পদ এবং সমগ্র অঞ্চলে পানির গুরুত্ব” বিবেচনায় নিয়ে “পানি ও জ্বালানি সহযোগিতার জন্য সকল পক্ষের জন্য অর্থনৈতিকভাবে উপকারী প্রক্রিয়া” উদ্ভাবন করার আহবান জানান।

উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভ “আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি-সম্পদের যৌক্তিক ব্যবহারের বিষয়ে একটি আঞ্চলিক কৌশল গ্রহণ করার” প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মধ্য এশিয়ার প্রধান নদী হলো আমু দরিয়া ও সির দরিয়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বছরগুলোতে এই নদীগুলোর জলপ্রবাহ কমতে শুরু করবে। এছাড়া, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের সঙ্গে রয়েছে পানি স্বল্পতা। আর, পুরাতন অবকাঠামো এক জটিল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংকট সৃষ্টি করছে এই অঞ্চলে।

তিন বছরের উত্তেজনার পর, মধ্য এশিয়ার দেশগুলো এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তারা এমন উদ্যোগ নিতে চাইছে। কেননা, ৮ কোটি জনসংখ্যার এই অঞ্চলে এখন কৃষি ও জ্বালানি চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মধ্য এশীয় সরকারগুলোর জন্য আরেকটি উদ্বেগের বিষয় হলো, উত্তর আফগানিস্তানে সেচ দেয়ার লক্ষ্যে, তালিবানদের কোশ টেপা খাল নির্মাণ। এই প্রকল্প, মধ্য এশিয়ার পানি সরবরাহকে আরো হুমকিরমধ্যে ফেলে দিতে পারে।

সম্পর্কিত খবর

ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার পঞ্চাশ ভাগ টিকা দেয়া হবেঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

gmtnews

আজ ৭৬ বছরে পা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।

gmtnews

কক্সবাজারের দুই সৈকত এখন ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ’

gmtnews

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত