স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ দুর্বারগতিতে এগিয়ে চলেছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী বছরের জুনেই পদ্মা সেতু দিয়ে চলবে গাড়ি। যার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের যুগের পর যুগ ধরে যাতায়াতের চরম দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের সব রোডওয়ে স্ল্যাব বসে গেছে। এখন সেতুর সব শেষ খুঁটি জাজিরার ৪২ নম্বর থেকে মাওয়ার কাছের ১৩ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত গাড়িতে আসা সম্ভব। এদিকে, সেতুর রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়ে গেছে দুই হাজার ৮৪৭টি। আর এক হাজার ৩১২টি স্ট্রিনজারের মধ্যে বসানো বাকি মাত্র ১৬টি।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সেতুর বাকি স্ল্যাবগুলো ইয়ার্ড থেকে সড়কপথে মাওয়ার ১ নম্বর পিয়ার দিয়ে উঠবে। ভরা বর্ষা মৌসুমেও উত্তাল পদ্মার ওপরে সেতুর কাজ চলবে পুরোদমে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেনের পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটারের সংযোগ সেতু দুই লেন করে সড়কে যুক্ত হবে। তিন ভাগে ছয় লেন ইতোমধ্যে যুক্ত হয়ে গেছে।
অপরদিকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক বলেন, বৃষ্টি ও বন্যায় কোনো সমস্যা না হলে সড়ক ও রেলপথের স্ল্যাব বসানোর কাজ সেপ্টেম্বরেই শেষ হবে। এরপর চাইলে হেঁটেই সেতু পার হওয়া যাবে। আমরা আশা করছি, আগামী জুনেই পদ্মা সেতু চালু করা যাবে।
২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতু নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৪ সালে মাওয়া-জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতু নির্মাণের পরামর্শ দেয় জাইকা। ২০০৭ সালে একনেকে পাস হয় পদ্মা সেতু প্রকল্প। প্রথমে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। কয়েক দফায় বেড়ে তা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।
মূল সেতুর কাজ ২০১৪ সালের নভেম্বরে শুরু হয়। এর কাজ করেছে চীনের চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। নভেম্বর পর্যন্ত মূল সেতুর ৯১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নদীশাসনের কাজও শুরু হয় ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে। কাজ করছে সিনোহাইড্রো করপোরেশন। নভেম্বর পর্যন্ত নদীশাসনের কাজ হয়েছে ৭৬ শতাংশ। দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক, টোল প্লাজা ও অবকাঠামো নির্মাণের কাজ বহু আগে শেষ হয়ে গেছে।
একটি মন্তব্য করা হয়েছে
waiting for the dream……..