রাজধানীতে সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করতে হলে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য সকল নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি গতকাল রাজধানীর বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা বিশ্বের যে কোনো শহরের তুলনায় বেশি। যে কারণে রাজধানীবাসীর প্রাপ্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন কিন্তু এর জন্য পর্যাপ্ত খেলার মাঠ, পার্ক যা আমাদের নেই। ক্লিনিক-হাসপাতাল, শিক্ষা, বিনোদন কেন্দ্র, খেলার মাঠ সবকিছু আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। মন্ত্রী বলেন, ড্যাপে উচু ভবন অন্তভূক্ত করতে অনেকেই দাবি তুলছেন। কিন্তু উচু ভবন করে শুধু মানুষ থাকলে হবে না, মানুষকে তো নিচে নামতে হবে। তাদের জন্য রাস্তা-ঘাট, পার্ক-মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সেবা দরকার। ভবন উচু করা হলো কিন্তু রাস্তায় যানজট থাকলো। এ উচু ভবন করে যানজট তৈরী করে রাস্তায় বসে থেকে নাগরিকদের ডায়বেটিকস আরো বাড়বে। এটা সবার জন্য ক্ষতি ছাড়া উপকার নেই।
মন্ত্রী আরো বলেন, রাজধানীতে জনসংখ্যার আলোকে মাঠ ও পার্কের কিছুটা সংকট রয়েছে। তবে নতুন ড্যাপে পর্যাপ্ত পার্ক ও মাঠের জন্য জায়গা নিদিষ্ট করা আছে। ড্যাপ বাস্তবায়িত হলে এই সংকট কাটবে। এছাড়াও ঢাকাকে আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সবকিছু পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে।
ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত থাকতে সুস্থ্য-সবল জীবন যাপনের জন্য খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা করার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, আমাদের বেঁচে থাকতে হলে জীবন যাপনের ধরন পরিবর্তন করতে হবে। ফাস্টফুড, কেমিক্যালযুক্ত পানীয়সহ অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ এগুলোর মধ্যে কার্বো হাইড্রেড বেশি থাকে। এজন্য অর্গানিক খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস করা উচিত।
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো জানান, এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আর এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বারডেম একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফারুক পাঠান।