আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের মেধাবী তরুণরাই আগামী দিনে তৈরি করবে পূর্ণাঙ্গ স্যাটেলাইট।
বাংলাদেশ ‘মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ নিয়ে গবেষণামূলক কার্যক্রম শুরু করার অংশ হিসেবে মহাকাশ জীবনের উপযোগি বিভিন্ন মডিউল বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করতে গতকাল রোববার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ)’ স্বাক্ষরিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যারোস্পেস অ্যান্ড এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ব্রিজ টু বাংলাদেশ (বিটুবি), অ্যাসপায়ার টু ইনোভেশন (এটুআই) ও পিকো স্যাটেলাইটের মধ্যে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চূয়ালি সংযুক্ত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি বলেন, দেশের মেধাবী তরুণরাই আগামী দিনে তৈরি করবে পূর্ণঙ্গ স্যাটেলাইট।
রাজধানীর লা মেরিডয়ান হোটেলে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল মো. নজরুল ইসলাম।
লালমনিরহাটে অবস্থিত দেশের প্রথম এই মহাকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এয়ার কমোডর মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আল মাহবুব। গবেষণা সহায়তায় এটুআই’র পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইনোভেশন ল্যাবের হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল। বিটুবি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম। আর পিকো স্যাটেলাইট ল্যাব স্থাপনের জন্য স্বাক্ষর করেন প্রফেসর ড. নাজমুল উল্লা। এ সমঝোতার মধ্যেমে দেশে একটি মহাকাশ ইকো সিস্টেম গড়ে তুলবে প্রতিষ্ঠান চারটি।
এই অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালি আরো সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শাহজাহান মাহমুদ ও বিটুবি’র উপদেষ্টা মোঃ আসাদুজ্জামান নূর।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পলক আগামী দিনগুলোতে দেশ থেকে আরো অনেক স্যাটেলাইট উৎপাদন করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, ‘কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, আরবান প্লানিং ও আর্লি ফ্লাড ডিটেকশনের জন্য আমাদের অনেক অনেক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা দরকার। সে ক্ষেত্রে আজকে যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হলো তা অবজারভেটরি স্যাটেলাইটসহ পিকো, ন্যানো স্যাটেলাইট -এগুলো উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করবে।’
পিকো স্যাটেলাইট প্রকল্পের মাধ্যমে মঙ্গলগ্রহসহ অন্যান্য উপগ্রহে জনবসতি গড়ে তুলতে এই সমঝোতা স্মারক কাজে লাগবে উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম ও উদ্যোক্তা সংস্কৃতি গড়ে তুলতে আইসসিটি বিভাগ সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করছে। তিনি এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যারোস্পেস অ্যান্ড এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সব ধরনের সহায়তারও আশ্বাস দেন।