প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহি চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, যারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘দেশের অগ্রগতিকে রোধ করার জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। তারা এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের চলমান অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত করছে।’
তৌফিক চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে এ কথা বলেন।
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. রাশিদুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান।
ড. তৌফিক বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করার জন্য দুই দশক সংগ্রাম করেছেন। তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অন্ধকার থেকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে আরো দুই দশক লড়াই করছেন।
আলোচনা সভায় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন রেহানা ভারতে ছয় বছর নির্বাসিত জীবনযাপনকালে সেদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি স্থানীয় অভিভাবক ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে স্থল সীমান্ত এবং সমুদ্র সীমান্তের সমস্যার সমাধান হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। ‘আমরা বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার।’
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ন সাহা মনি এবং প্রচার সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন বক্তব্য রাখেন।