সিলেট: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়ন ইস্যুতে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাইকা ও ইউএনডিপি। শনিবার (২৫ নভেম্বর) সিলেট সিটি করপোরেশন নগর ভবনে উভয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভা করেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এদিন দুপুরে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বন্যা মোকাবিলা ও নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থাবিষয়ক মতবিনিময় সভা করে। সভায় সিলেটের বন্যা মোকাবিলা ও নগরের পানি নিষ্কাশনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। এসময় সিলেটের বন্যা মোকাবিলা ও নগরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে জাইকা কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।
এসময় সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাদের আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে জাইকার সঙ্গে কাজ করতে সিসিক সম্মত বলে জানান। সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইসিগুচি টমমডি, রিপোর্টার অসি, ক্যামেরাম্যান থমাওশী, স্থানীয় কাউন্সিলর একেএম মঈনউদ্দিন, জাইকার প্রোগ্রামার আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
এর আগে জাইকা প্রতিনিধিদল সিলেট সিটি করপোরেশনে এলে মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ও সিলেটের ঐতিহ্যবাহী চা উপহার দেন। এদিকে এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সিসিক সভাকক্ষে পৃথক মতবিনিময় সভা করে ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধিদল।
সভায় তারা সিলেটে ভূমিকম্প মোকাবিলা ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করেন। এতে সিলেট নগরে বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি নির্মাণসহ ভূমিকম্প প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় বিধি-নিষেধ কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়া ভূমিকম্প পূর্ব প্রস্তুতি পরবর্তী করণীয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব আতিকুল হক, ইউএনডিপির সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি অবেন্দু শেখর রায়, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিমা ইয়াসমিন, প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান খান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব, সব তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারী প্রকৌশলীরা।
অপরদিকে চায়না ও বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় সিলেটের ৮৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বিভিন্ন পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকালে এসব পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম তুলে দেন সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। পর্যায়ক্রমে আরও পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে বিভিন্ন পরিচ্ছন্নতা সরঞ্জাম দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।