পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মাহমুদ কুরেশিকে আবারও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস-সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দেশটির বিশেষ আদালতের বিচারক আবুয়াল হাসনাত জুলকারনাইন এই অভিযোগ গঠন করেন।
এই মামলায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসছেন অভিযুক্ত দুই রাজনীতিক। তাঁদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁসের অপব্যবহারের অভিযোগ-সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে তাঁরা জড়িত নন।
এর আগে গত মঙ্গলবারও এই মামলার শুনানি হয়েছিল। সেখানে ইমরান ও কুরেশির পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি কীভাবে এই বিচারকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে, তা দেখার জন্য সেখানে কয়েকজন সাংবাদিককেও উপস্থিত থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। সেদিন ইমরান খানের আইনজীবী হাইকোর্টের নিষেধ সত্ত্বেও কারা অভ্যন্তরে এই মামলার বিচারকাজ পরিচালনা, গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশাধিকার ও মামলার নথি চালান-সংক্রান্ত আলাদা আলাদা ছয়টি আবেদন দাখিল করেন।
পাকিস্তানের অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-২০২৩-এর অধীনে বিশেষ ওই আদালত গঠন করা হয়েছে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ইমরান ও কুরেশিকে এই মামলায় অভিযুক্ত করেছিলেন বিশেষ আদালত। কারাগারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী এই আদালত বসেছিলেন। এতে ইমরান ও কুরেশির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট গত মাসে কারা অভ্যন্তরে এমন বিচারকাজ চালানোর বিষয়টিকে ‘অকার্যকর’ বলে ঘোষণা করেছিলেন। তখন এই মামলার বিচারকাজ বন্ধ
হয়ে যায়। তবে সম্প্রতি দেশটির মন্ত্রিপরিষদ কারাগারে এই মামলার বিচারকাজ চালানোর আবারও অনুমতি দেন।