গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গু জ্বরে মোট ১১৪ জন মারা গেল।
একই সময়ে আরও এক হাজার ৫৮৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সোমবার (১৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক হাজার ৫৮৯ জন নতুন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৪৭ জন ঢাকার সিটির মধ্যে এবং ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশে ৭৪২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট এক হাজার ৯৫ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৪৯ জন ঢাকার সিটি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এবং ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে থেকে ৪৪৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। ওই আটজনের পাঁচজন ঢাকা সিটিতে এবং তিনজন ঢাকা সিটির বাইরে মারা যান।
এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটির মধ্যে ৮৭ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশে ২৭ জন মারা যান।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৪৬৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ১৪ হাজার ৬৯৭ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশে সাত হাজার ৭৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৯১২ জন হাসপাতালে থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। ঢাকা সিটির বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে ১১ হাজার ২৬৩ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে মোট পাঁচ হাজার ৬৪৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
বর্তমানে সারা দেশে মোট পাঁচ হাজার ৪৪১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ঢাকা সিটিতে তিন হাজার ৩৪৭ জন এবং ঢাকা সিটির বাইরে দুই হাজার ৯৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৮১ জন মারা যান।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, বিগত ৫ বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি। বেশি মারা যাচ্ছেন নারীরা। আক্রান্ত বেশি পুরুষরা। ১৮-৪০ বছর বয়সীরা বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে। মোট ১১৪ মৃত্যুর ২৪ জন শিশু। ঢাকা মহানগরে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেশি।