দীর্ঘদিন ধরে টিগ্রের দখল নিয়ে ইথিওপিয়ার সেনা ও টিগ্রে পিপলস রেভলিউশনারি ফোর্স (টিপিএলএফ) এর মধ্যে লড়াই চলছে। বুধবার টিগ্রের টোগোগা শহরে বিমান বাহিনী ব্যস্ত বাজার এলাকায় বোমা ফেলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, অন্ততপক্ষে ৪৩ জন মারা গেছেন। খবর এপি, এএফপি ও রয়টার্সের।
অভিযোগ, টিগ্রের রাজধানী থেকে এই শহরে আসার রাস্তা সেনা আটকে রেখেছিল। ফলে কোনো অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানিয়েছেন, ”এই ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। অনেকের আঘাত গুরুতর।”
সংবাদসংস্থা এএফপিকে তিনি জানিয়েছেন, ”আমাকে রক্তের উপর দিয়েই হাঁটতে হচ্ছে।” তার নিজের বাড়িও বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইথিওপিয়ার সেনার মুখপাত্র বলেছেন, ”কোনো অ্যাম্বুলেন্সকে আটকানো হয়নি।” তবে বিমান-হামলা হয়েছে না হয়নি, তা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি।
তবে ইইউ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ”এই বিমান-হামলা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আর অ্যাম্বুলেন্সের রাস্তা আটকে দেয়ার ঘটনা যদি সত্যি হয় তাহলে তা মর্মান্তিক বিষয়। এটা জেনিভা কনভেনশনের বিরোধী।”
গত নভেম্বরে টিগ্রের এই সংঘাত শুরু। টিপিএলএফ তখন সেনা ঘাঁটির উপর আক্রমণ চালিয়েছিল। টিপিএলএফই এই অঞ্চলে শাসক দল। গত বছর করোনার কারণে ভোট বাতিল হওয়ার পর টিপিএলএফের অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী বেআইনিভাবে ক্ষমতায় আছেন। তারপরই টিগ্রেতে সেনা অভিযান হয়। সেই লড়াই এখনো চলছে। গত সোমবারই ইথিওপিয়ায় নতুন সরকার বেছে নিতে ভোট হয়েছে। গণনা এখনো চলছে। তবে টিগ্রের মানুষ সেই ভোটে অংশ নিতে পারেননি।