প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোউসের ত্যকাণ্ডের জেরে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিরোধে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছে হাইতি। গতকাল শুক্রবার হাইতির নির্বাচনসংক্রান্ত মন্ত্রী ম্যাথিয়াস পিয়ের এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডের জের ধরে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতে দেশটির বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ নানা কৌশলগত স্থাপনায় হামলা চালানো হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে এ সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
হাইতির ‘নিরাপত্তা ও তদন্তসংক্রান্ত সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। এ বিষয়ে হাইতির সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা। তবে তারা আদৌ সেনা পাঠাবে কি না, তা নিশ্চিত করেনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাইতির পক্ষ থেকে এমন বার্তা পাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে এই মুহূর্তে হাইতিতে সামরিক বাহিনী পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে তারা কোনো সেনা সদস্য হাইতিতে পাঠাবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির বেশ কয়েক সদস্যকে হাইতিতে পাঠানো যাবে যারা জোভেনেল মোয়িজ হত্যাকাণ্ডে তদন্তে হাইতিকে সহায়তা করবে।
বিবিসি জানাচ্ছে, জাতিসংঘ যদি হাইতিতে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে চায় তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তার পরিষদের অনুমোদন দিতে হবে।
বুধবার (৭ জুলাই) রাতে ২৮ জনের একটি দল যারা সবাই হাইতির বাইরের দেশের নাগরিক তারা প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসকে নিজ বাড়িতে হত্যা করে। এদিকে ওই হামলায় গুরুতর আহত ফার্স্টলেডি এখন হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ।
এ ছাড়া তিনজন হত্যাকারী অভিযানে নিহত হয়েছে বাকি আটজন এখনো পলাতক। এ ছাড়া হত্যাকারীদের মধ্যে কলম্বিয়ার এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রয়েছে বলে জানিয়েছে হাইতির পুলিশ।
মোইসি নিহত হওয়ায় সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। ঘটনার পরপরই তিনি জনসাধারণের চলাচলের ওপর অবরোধ আরোপ করেন।
2 সকল মন্তব্য
[…] জাতিসংঘ-যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সামরিক স… […]
[…] নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটিতে এখন মার্কিন সৈন্য পাঠানোর ব্যাপারে ওয়াশিংটনের ‘কোন পরিকল্পনা […]