তাইওয়ান বেইজিংয়ের চাপে মাথা নত করবে না এবং তার গণতান্ত্রিক জীবনধারা অব্যাহত রাখবে।
চীনা যুদ্ধবিমানের তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা জোনে বারংবার প্রবেশের প্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইঙ ওয়েন রোববার এ কথা বলেন।
স্বশাসিত তাইওয়ানের দুই কোটি ৩০ লাখ লোক কর্তৃত্ববাদী চীনের অব্যাহত হুমকির মুখে রয়েছে। চীন তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল বলেই মনে করে। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও একদিন এটি দখলে নেবে বলে সংকল্প বেইজিংয়ের।
তাইওয়ানের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া ভাষণে সাই ইঙ ওয়েন আরো বলেন, আমরা যতো অর্জন করবো ততো বেশি চীনের চাপের মুখে পড়বো।
তিনি বলেন, তাইওয়ান যেন গনতন্ত্রের প্রতিরক্ষার প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে আছে।
ওয়েন আরো বলেন, আমরা আশা করি চীনের সাথে সম্পর্ক সহজ হবে। তবে তা তাড়াহুড়ো করে নয়। তবে তাইওয়ানের জনগণ যে মাথা নত করবে না এ বিষয়ে কোন বিভ্রান্তি থাকা উচিত হবে না।
উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধ শেষে উভয় ভূখন্ড পৃথকভাবে শাসিত হয়ে আসছে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের আমলে অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা চলছে। গত পাঁচ বছর আগে সাই ইঙ ওয়েনের নির্বাচিত হওয়ার পর শিন পিং তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়ে অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক চাপ জোরদার করেন।
সর্বশেষ তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরন জোনে চীনের যুদ্ধবিমানের অনুপ্রবেশ বেড়ে গেলে উত্তেজনা তীব্ররূপ নেয়।