অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে ছাত্রলীগের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে কোনভাবেই বিভ্রান্তির পথে না গিয়ে পাঠে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘তোমাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মেলাতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে এখন থেকেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব আসবে, প্রযুক্তির এই যুগে মানুষের কর্মদক্ষতারও পরিবর্তন ঘটবে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এখন থেকে তৈরি হতে হবে।’

শেখ হাসিনা গতকাল দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে রাজধানীর খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রলীগের মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে বলেন, মানুষের জন্য কাজ করাই ছাত্রলীগের মুল দায়িত্ব। এটাই রাজনৈতিক নেতাদের কাজ এবং তা ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে।

জাতির পিতার বলে যাওয়া কথা ‘মহান অর্জনের জন্য মহান আত্মত্যাগ দরকার’ সে কথা ছাত্রলীগকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, কাজেই আমাদের ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে মনে রাখতে হবে তারা কেউ যেন বিভ্রান্ত না হয়। সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। দুূর্ণীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হয়। নিজেদের এ সবের উর্ধ্বে রেখে দেশ যেন শান্তির পথে, উন্নয়নের এগিয়ে যেতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে।

ছাত্রলীগের মূল মন্ত্র শিক্ষা,শান্তি এবং প্রগতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। কাজেই আমাদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এগুতে হবে। কম্পিউটার শিক্ষা, প্রযুক্তি শিক্ষা, ইন্টারনেট ব্যবহার, সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে দেয়া-আমরা সবই করে দিয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে আজকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রযুক্তির ব্যবহার পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। কাজেই মানুষকে আর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। মানুষের দৃষ্টি খুলে গেছে কেননা হাতের মুঠোয় পৃথিবী এসে গেছে।

বাংলা, বাঙালির স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি কক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম হয়।

অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বক্তৃতা করেন। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

সম্পর্কিত খবর

এবার কাশ্মীরে নামছে কোবরা কমান্ডোরা

Hamid Ramim

রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং মানবতার ভবিষ্যতের উপর চীন-মার্কিন সম্পর্কের প্রভাবের উপর জোর দিয়েছেন

Hamid Ramim

অনুতপ্ত তপু প্রায়শ্চিত্তের অপেক্ষায়

Shopnamoy Pronoy

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত