অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
ক্রিকেট খেলা বাংলাদেশ সর্বশেষ

আসছে বিশ্বকাপ, ‘জ্বলে ওঠার’ সময় বয়ে যাচ্ছে কি অস্ট্রেলিয়ার

বিশ্বকাপ এলেই জ্বলে ওঠে তারা—অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে কথাটি খাটে খুব করেই। বিশ্বকাপ এলেই একটা অন্য রকম দাপট যেন কাজ করে তাদের মধ্যে। রক্তে যেন নাচন ধরে অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়দের! এবারও কি সেটিই হবে? আপাতত সেটি জোর গলায় বলা যাচ্ছে না। বিশ্বকাপের ঠিক আগ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স যে সুবিধার নয় খুব একটা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে এরপর টানা ৩ ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে তারা। ভারতে এসে বিশ্বকাপের আগে ৩ ম্যাচের সিরিজ তাদের জন্য হওয়ার কথা ছিল আদর্শ প্রস্তুতির মঞ্চ। অথচ প্রথম ২ ম্যাচেই সিরিজ হেরে বসেছে তারা। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে উল্টো আত্মবিশ্বাসই না নড়বড়ে হয়ে যায় তাদের! বিশ্বকাপের আগে টানা ৫ ওয়ানডেতে হার স্বাভাবিকভাবে খুব একটা স্বস্তির নয়।

সেটি মানছেন গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া স্টিভেন স্মিথও। ইন্দোরে ভারতের কাছে ৯৯ রানের বড় ব্যবধানে হারের পর তিনি বলেছেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি ম্যাচ টানা হারলাম। বিশ্বকাপ হচ্ছে ঠিক সময়ে জ্বলে ওঠার ব্যাপার, তবে নিশ্চিতভাবেই আমরা এ পর্যায়ে সেটি করতে পারিনি। কয়েকটা জিনিস ঠিকঠাক করতে হবে। আমরা জানি আমরা ভালো দল। দুই দলই বিশ্বকাপ সামনে রেখে কাজ করছে, তবে ম্যাচ তো জিততেই চাই।’ সেই ম্যাচটিই জিততে পারছে না অস্ট্রেলিয়া। তাদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ বোলিং।  দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ৩ ম্যাচে ৪১৬, ৩৩৮ ও ৩১৫ রানের পর গতকাল অস্ট্রেলিয়া দিয়েছে ৩৯৯ রান। সর্বশেষ ৫ ম্যাচে চারবারই টসে জিতে বোলিং নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নিশ্চিতভাবেই বোলারদের ওপর আস্থা রাখতে চেয়েছে দলটি, তবে তার প্রতিদান পায়নি।এ ৪ ম্যাচেই খেলা শন অ্যাবট গতকাল বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম সেভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। এ সব ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেব—এমন বলায় দোষের কিছু নেই, তবে দল হিসেবে আমাদের আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।’

ঝামেলাটা কোথায় হচ্ছে, অ্যাবট বলেছেন সেটিও, ‘আজও দেখা গেছে আমাদের বোলিংয়ের সময়, যেমন দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। যখনই আমরা স্টাম্পের লাইন মিস করছি, মার খাচ্ছি।’

অস্ট্রেলিয়ার এমন পারফরম্যান্সের ‘ঢাল’ একটা হতে পারে—ঠিক সেরা দলটি তারা পায়নি এ সব ম্যাচে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ মিস করার পর ভারতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচে খেলেছিলেন কামিন্স। বিশ্বকাপের আগে এ সিরিজের ম্যাচে খেলে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতাটা বাড়াতে চান, এমন বলা হলেও গতকাল অবশ্য আবার বিশ্রামে থাকেন তিনি। কুঁচকির চোটে ভোগা ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক খেলেননি সর্বশেষ ৭ ম্যাচের একটিতেও। একই অবস্থা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাস্টন অ্যাগারেরও। অ্যাগার তো এখনো অস্ট্রেলিয়াতেই থেকে গেছেন। গত ম্যাচে বিশ্রামে ছিলেন মিচেল মার্শও। এ অলরাউন্ডার অবশ্য বোলিং করছেন না এখনো।এর আগে কামিন্স বলেছিলেন, বিশ্বকাপের আগে খেলোয়াড়দের বেশি করে খেলিয়ে ক্লান্ত করতে চান না তাঁরা। তবে আপাতত যে অবস্থা, তাতে শীর্ষ সারির বেশ কয়েকজনকে সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচ খেলার তেমন অভিজ্ঞতা ছাড়াই নামতে হয় কি না, সে শঙ্কা জাগছে। ভারতের বিপক্ষে আগামী বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া, যেটি হবে রাজকোটে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডস ও ৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। ৮ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষেই চেন্নাইয়ের ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে এখন পর্যন্ত রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের।

সম্পর্কিত খবর

করোনার ভ্যাকসিনকে বিশ্বব্যাপী সাধারণ পণ্য ঘোষণার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

News Editor

প্রাথমিকের মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তারা নতুন পদনাম পাচ্ছেন

gmtnews

সাকিবের সাথে দেশে ফিরলেন লিটনও

Shopnamoy Pronoy

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত