তিনি ‘কথা দিয়েছিলেন’, ২০১৪ সালের পরে আর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন না। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে ভ্লাদিমির পুতিন সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে চলেছেন বলে ক্রেমলিনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
আগামী মার্চ মাসে রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। ক্রেমলিনের ওই সূত্র উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ জানাচ্ছে, ৭১ বছরের পুতিন সেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সরাসরি বিষয়টি এখনও স্বীকার করেননি। তিনি সোমবার বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।’
গত ২৩ বছর রাশিয়ায় কার্যত দণ্ডমুণ্ডের কর্তা হয়ে আছেন পুতিন। ২০০০ সালের মে মাস থেকে ২০০৮ সালের মে পর্যন্ত উপর্যুপরি দু’টি নির্বাচনে জিতে সে দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন তিনি। তৎকালীন রুশ আইন অনুযায়ী দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যেত না। তাই অনুগত দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন পুতিন। এর পরে ২০১২ সালে দ্বিতীয় দফায় (তৃতীয় নির্বাচন জিতে) ছয় বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হন তিনি। পুনর্নির্বাচিত হন ২০১৮ সালে।
টানা দু’বারের বেশি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্যই ২০২১ সালেই আইন পরিবর্তন করেছিলেন একটা রুশ গুপ্তচর সংস্থা কেজিবির প্রধান। পঞ্চমবার (দ্বিতীয় মেয়াদে টানা তৃতীয়বার) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে ২০৩০ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন। নির্বাচনে তার জয় কার্যত নিশ্চিত বলেই ধারণা রুশ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অধিকাংশের। অর্থাৎ, পুতিনের সামনে এখন সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই নেতার রেকর্ড ভাঙা সময়ের অপেক্ষা। টানা ২৪ বছর ক্রেমলিনে ক্ষমতায় ছিলেন জোসেফ স্তালিন এবং লিওনিদ ব্রেজনেভ। আর সামগ্রিকভাবে ক্ষমতায় শীর্ষে থাকার ক্ষেত্রে পুতিনের সামনে এখন শুধুই স্তালিন।