আফগানিস্তানের হেরাতে জাতিসংঘের কার্যালয়ে শুক্রবার হামলা হয়েছে। এই হামলায় আফগানিস্তানের একজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। কারা এই হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
হেরাত প্রদেশের কয়েকটি জেলা দখল করে নিয়েছে আফগানিস্তান। শুক্রবার হেরাত শহর থেকে একটু দূরে তালেবান ও আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এই সংঘাতের কারণে ওই এলাকার অনেককেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়।
ইউনাইটেড নেশন্স অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন ইন আফগানিস্তান (ইউএনএএমএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই সংঘর্ষ চলাকালে হেরাতে জাতিসংঘের কার্যালয় হামলার শিকার হয়। রকেট-চালিত গ্রেনেড ও গুলি দিয়ে এই হামলা চালানো হয়।
আফগানিস্তান বিষয়ে জাতিংসঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি দেবোরাহ লায়ন্স বলেছেন, ‘জাতিসংঘের বিরুদ্ধে এই হামলা দুঃখজনক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। হামলায় জড়িতদের অবশ্যই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
ইউএনএএমএ বলেছে, ‘সরকারবিরোধী শক্তি’ এই হামলা চালিয়েছে।
তারা আরো বলেছে যে, জাতিসংঘ কার্যালয় যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকায় আফগানিস্তানের সেনাবাহিনী ও তালেবানের মধ্যে সংঘর্ষ চলে আসছে। তবে, শুক্রবার এই হামলায় জাতিসংঘের কোনো কর্মকর্তা আহত হননি। তবে, তালেবান বলছে ওই পুলিশ সদস্য ক্রসফায়ারে মারা যেয়ে থাকতে পারেন।
টুইটারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, ‘যেখানে সংঘাত হয়েছে তার খুব কাছেই অবস্থিত জাতিসংঘের অফিস। ওই পুলিশ সদস্য হয়তো ক্রসফায়ারে মারা গেছেন। জাতিসংঘের কার্যালয় মোটেও হুমকির মুখে নেই।’
এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রও কড়া নিন্দা জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর জেক সুলিভান বলেছেন, ‘আফগানিস্তানে জাতিসংঘ বেসামরিক সত্তা। তারা সেখানে মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তায় কাজ করেন।’