বাংলাদেশে বসবাসরত দশ লাখের উপরে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আগস্টে করোনার টিকা পেতে যাচ্ছেন। শনিবার (১৭ জুলাই) শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত ডোজের প্রাপ্যতার ভিত্তিতে আগস্টের যেকোনো দিন থেকেই আমরা টিকাদান শুরু করতে পারি।’
বর্তমানে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করেন। গত বছরের মে মাসে সেখানে প্রথম করোনার সংক্রমণ ঘটে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মোট দুই হাজার ১৬১ জন, মারা গেছেন ২৪ জন।
প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরে আরো টিকা পাওয়া গেলে আওতা বাড়ানো হবে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
টিকার পরিকল্পনা নিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপিকে কমিশনার বলেন, ঘাটতি থাকায় প্রথম পর্যায়ে শুধু পঞ্চান্ন বয়সের উপরের ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হবে৷ পর্যাপ্ত টিকা পাওয়া গেলে ধাপে ধাপে রোহিঙ্গাদের সবাইকেই আওতায় আনা হবে৷
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা। সেই সঙ্গে কার্যক্রমের আওতা বাড়ানোরও দাবি জানান তারা। লাম্বাসিয়া ক্যাম্পের মোহাম্মদ রফিক বলেন, ‘ক্যাম্পগুলোতে অনেক মানুষ একসঙ্গে বাস করেন। কাজেই প্রত্যেকেরই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে।’
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ নিজেদের নাগরিকদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম শুরু করে৷ মাঝে ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় কার্যাক্রমে ভাটা পড়ে৷ তবে কোভেক্সের অধীনে পাওয়া টিকা ও চীন থেকে কেনা চালান আসতে শুরু করায় এখন তা আবার গতি পেতে শুরু করেছে৷