32 C
Dhaka
April 1, 2025
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার ঢল

ময়দানসহ আশপাশের সড়কগুলো একেবারে নিস্তব্ধ। গুরুগম্ভীর হয়ে দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে মুসুল্লিদের ফরিয়াদ।

বিশ্ব ইজতেমা-২০২৪ এর প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত চলাকালীন ময়দান ও আশপাশের সড়ক ও এলাকার পরিবেশ ছিল একেবারে শান্ত। সড়কগুলোতে যে যার মত বসে অংশ নেয় মোনাজাতে।

দুই হাত তুলে অনেকেই কেঁদেছেন, কেউ কেউ আল্লাহ আল্লাহ ধ্বনিও উচ্চারণ করেছেন। সবাই নিজেদের সব গুনাহর জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হয় তবলিগ জামাতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত। এরপর থেকে শুরু হয় মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার ঢল।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর মোনাজাত শেষে ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে বেড়ে যায় মুসুল্লিদের ভিড়।

টঙ্গী সড়কের আব্দুল্লাহপুর, স্টেশন রোড, আব্দুল্লাহপুর স্লুইসগেট ও কামারপাড়াসহ ময়দানের চারপাশে সড়কে মুসুল্লিদের ঢল নেমেছে।

সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে পথ চলাচল করছেন মুসল্লিরা। কারও পিঠে ব্যাগ, কারও মাথায় বিছানাপত্র। যে যার মাল-সামান নিয়ে হাঁটতে শুরু করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আখেরি মোনাজাত শেষে আমিন আমিন ধ্বনিতে কম্পিত হয় পুরো ইজতেমার ময়দান ও আশপাশ। মুসুল্লিদের চলাচল শুরু হয়। শান্ত পরিবেশ ব্যস্ত হয়ে ওঠে। ময়দানের ভেতর থেকে মুসল্লিরা বের হতে শুরু করেন। কেউ কেউ নিজেদের ব্যাগ ও সামান পিঠে, হাতে, ঘাড়ে ও মাথায় নিয়ে বের হতে থাকেন। এদিকে সড়কে নিমিষেই পরিপূর্ণ হয়ে যায় জনসমুদ্রে।

ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছিলেন লাখো মুসল্লি। মোনাজাত শেষে তারা পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করছেন।

গাজীপুর থেকে আগত আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, গাজীপুর ভোগড়া থেকে ভোর বেলায় রওয়ানা করেছে বিশ্ব ইজতেমার উদ্দেশ্যে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাযোগে টঙ্গী স্টেশন রোড় পর্যন্ত এসেছেন। এরপর হেঁটে ময়দানে ভেতরে প্রবেশ করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ময়দানের ভেতরে বসে মুরব্বিদের হেদায়েতি বয়ান শুনেছি। এরপর আখেরি মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এবার অনেক মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিয়েছে।

টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের পাশে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে ফ্লাইওভারের নিচে বসে মোনাজাতে অংশ নেয় আরিফুর রহমান।

মোনাজাত শেষে তিনি বলেন, রামপুরা-বনশ্রী থেকে ফজরের নামাজের পর রওয়ানা হয়েছিলাম। সকাল সাড়ে ৮টায় এখানে পায়ে হেঁটে পৌঁছেছি। মোনাজাতে অংশ নিয়েছি। এখন বাড়ি ফিরে যাব৷  সকালে আজমপুর পর্যন্ত বাসে আসতে পেরেছি। এরপর থেকে হেঁটে এখানে আসি। এখনে আবার হেঁটে রওয়ানা দেব। গাড়ি পেলে চলে যাব।

এদিকে, বিশ্ব ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাত ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), গোয়েন্দা পুলিশসহ (ডিবি) বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

নিরাপত্তার স্বার্থে ময়দান ও আশপাশের নজরদারি রাখতে মোড়ে মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়। এছাড়াও র‍্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে টহল দেওয়া হয় ইজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায়।

মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের নিরাপদ চলাচলের জন্য ময়দানের আশপাশের সড়কগুলোতে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতেও কাজ করছেন।

সম্পর্কিত খবর

ইউজিসির ১০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

News Editor

রোনালদো অপরাজিত ‘১০০০’, জয়ে এশিয়ার চ্যাম্পিয়নস লিগে অভিষেক

Shopnamoy Pronoy

২০২৩-এর আহমেদাবাদে ২০১৯-এর লর্ডসের স্মৃতি

Shopnamoy Pronoy

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত