অলিম্পিক অনুষ্ঠান শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় জাপান সরকার ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়াবে। সেই সঙ্গে শুক্রবার আরও চারটি অঞ্চলে বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানীতে রেকর্ড সংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। প্রথমবারের মতো দেশটিতে সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে গেছে এক বছর। পরিস্থিতির উন্নতি না হলেও দর্শকবিহীনভাবে শুরু হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া যজ্ঞ। তবে অলিম্পিকের সঙ্গে সম্পর্কিত ২৭টি নতুন সংক্রমণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে ইতিমধ্যে। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে ৩ জন অ্যাথলেট। এ নিয়ে চলতি মাসে মোট ২২৫ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এদের মধ্যে ৯৮ জন বিদেশী অ্যাথলেট। আয়োজকরা জানিয়েছেন, প্রায় ৩৯, ৮০০ লোক এই অলিম্পিকের জন্য জাপানে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, সরকার ‘জরুরি ভিত্তিতে কাজ করছে’ এবং শুক্রবার সংক্রমণ বিরোধী ব্যবস্থা জোরদা করা হবে।
টোকিওতে চলমান জরুরি অবস্থায় রেঁস্তোরা এবং বার খোলা রাখার সময় হ্রাস এবং অ্যালকাহোল বিক্রি থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২২ আগস্ট নাগাদ এই নিষোধাজ্ঞা শেষ হওয়ার কথা। তবে জাপান সরকার মাসের শেষদিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
সরকারের মুখপাত্র কাটসুনো বুকাতো সাংবাদিকদের জানান, দক্ষিণ ওকিনাওয়ার জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেও এই মেয়াদ বাড়ানো হবে এবং রাজধানী এবং ওসাকার পশ্চিমে আশে পাশে আরও তিনটি অঞ্চলেও কঠোর বিধিনিষেধের আওতা সম্প্রসারিত করা হবে।
টোকিও অলিম্পিক চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। প্যারালিম্পিক ২৪ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। প্যারালিম্পিকে দর্শকদের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।