ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মু সোমবার শপথ নিয়েছেন। আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়লেন ৬৪ বছর বয়সী দ্রৌপদী মুর্ম।
ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান । এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, বিদায়ী উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
এ ছাড়া দ্রৌপদী মুর্মু’র নিজ রাজ্য ওড়িশার মূখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা এবং বিভিন্ন দলের এমপিরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শপথের পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেন, ‘একটি ছোট আদিবাসী গ্রাম থেকে আমি আমার জীবন শুরু করেছি। যে পটভূমি থেকে আমার যাত্রা সেখানে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করাও স্বপ্নের মতো ছিল।
তিনি বলেন, কিন্তু বহু বাধা সত্ত্ব্ওে দৃঢ় সংকল্পের কারনে আমি ছিলাম আমার গ্রামের প্রথম মেয়ে যে কলেজে গিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার নির্বচিত হওয়া প্রমাণ করে যে দেশের দরিদ্ররা স্বপ্ন দেখতে পারে এবং তা পূরণও করতে পারে।’
প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে নজর দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি মুর্মু।
দ্রৌপদী মুর্মু সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নারী। এর আগে তিনি ঝাড়খন্ড রাজ্যের গভর্ণর ছিলেন। ওড়িশার সাঁওতাল পরিবারে জন্মগ্রহণ করা এই নারী ছিলেন ক্ষমতাসীন বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থী।
তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী রাষ্ট্রপতি। এর আগে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিভা পাতিল প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে পাঁচবছর দায়িত্ব পালন করেন।
দ্রৌপদী মুর্মু গত সপ্তাহে পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের (লোকসভা এবং রাজ্যসভা) সদস্য, দেশটির সবগুলো রাজ্যের বিধানসভার সদস্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর প্রতিনিধিদের ৬৪ শতাংশ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।