ইউক্রেনের লিসিচানস্ক শহরে শনিবার লড়াই আরো তীব্রতর হচ্ছে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তার বাহিনী বেলারুশ ভূখন্ডে কিয়েভ বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
ইউক্রেনর পূর্বঞ্চলে দনবাসের লুগানস্ক এলাকার সর্বশেষ প্রধান শহর লিসিচানস্ক ঘিরে রাখার ব্যাপারে মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি প্রত্যাখান করে কিয়েভ বলেছে দনবাস অঞ্চল এখনো তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
লিসিচানস্ক পার্শ্ববর্তী সেভেরোডোনেটস্ক থেকে প্রবাহিত নদীর তীরে অবস্থিত, গত সপ্তাহে রুশ বাহিনী সেভেরোডোনেটস্ক দখল করে নিয়েছে। শহরটির দখল রুশ বাহিনীর হাতে গেলে তারা দনবাসের আরো ভেতরে হামলা জোরদারের সুযোগ পাবে। কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হওয়ার পরে তাদের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে দনবাস অঞ্চল দখলে নেয়া।
ইউক্রেনিয়ান ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র রুসলান মুজিচুক ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেন, ‘লিসিচানস্কের চারপাশে লড়াই চলছে…, শহরটি ঘিরে রাখা হয়নি এবং এটি ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।’
আগের দিন রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনীর মুখপাত্র আন্দ্রেই মারোচকো তাস সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘লিসিচানস্ক সম্পূর্ণভাবে ঘেরাও করা হয়েছে।’
শনিবার বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ‘উস্কানি’ দেয়ার অভিযোগ করে বলেছেন, তার সেনাবাহিনী ‘প্রায় তিন দিন আগে’ ইউক্রেন বাহিনীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে।
বেলারুশ থেকে ইউক্রেনের সীমান্ত অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে কিয়েভের দাবির এক সপ্তাহ পরে বেলারুশ এই পাল্টা দাবি করলো। রাশিয়ার দীর্ঘকালের মিত্র বেলারুশ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে মস্কোর আগ্রাসনের সমর্থন দিয়েছে। তবে, লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার আগ্রাসনের সঙ্গে বেলারুশের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছেন।