ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশলগত শহর সেভেরোদোনেটস্ক ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে কিয়েভ বাহিনী। তাদের পিছু হটার মাধ্যমে ইউক্রেনের বৃহত্তর র্প্বূাঞ্চলীয় এলাকা দখলে নিতে রুশ বাহিনীর জন্য সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনের প্রার্থীর মর্যাদা অনুমোদনের পর পরই এ ঘোষণা এলো। তবে ইইউ’র সদস্য পদ লাভে ইউক্রেনকে এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
এদিকে সেভেরোদোনেটস্কে কয়েক সপ্তাহ ধরে রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলার পরও রুশ বাহিনীর অগ্রগতি থামানো যায়নি।
সেভেরোদোনেটস্কসহ লুগানস্ক অঞ্চলের গভর্ণর সার্গেই গেইদে বলেন, এই শহর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টেলিগ্রামে তিনি বলেন, কয়েকমাস ধরে গোলাগুলি চলছে এমন অবস্থানে থাকার কোন মানে হয় না। নগরীর ৯০ শতাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সেভেরোদোনেটস্ক দখলে নেয়ার মধ্যদিয়ে রুশ বাহিনী বৃহত্তর দনবাস অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলে যেসব মন্তব্য করা হচ্ছে তার প্রেক্ষিতে এস্তোনিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টার্টু’র আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক গবেষক ইভান ক্লেশ বলেন, সেভেরোদোনেটস্ক থেকে পিছু হটার কারনে যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি বদলাবে না।
এদিকে গেইদে জানিয়েছেন, রুশরা এখন লিসিচানস্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এখানে অব্যাহতভাবে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। শহরে যারা রয়ে গেছেন তাদের অবস্থা খারাপ।
রাশিয়ানরা গত কয়েকদিনে উত্তরাঞ্চলীয় খারকিভেও তাদের অভিযান জোরদার করেছে।