27 C
Dhaka
March 31, 2025
অগ্রবর্তী সময়ের ককপিট
বাংলাদেশ সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  এবং  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি ও মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা এবং এ মৈত্রী অবিচ্ছেদ্য। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততোদিন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সাথে ভারতের অবদানের কথা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।

তিনি গতকাল সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও ভারতের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারতের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া কখনো আমাদের পক্ষে নয় মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করা সম্ভবপর হতো না। একাত্তর সালে এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলো। ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলো।

ভারত পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণার পর, ভারতের সেনাবাহিনী আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে একযোগে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ভারতের সেনাবাহিনীর শতশত সদস্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ হয়েছেন। তাই ভারতের সাথে আমাদের যে মৈত্রী, আমাদের যে সম্পর্ক, সেটি রক্তের অক্ষরে লেখা। শুধু তাই নয়, যখন পাকিস্তানের কারাগারে থাকা বঙ্গবন্ধুর ফাঁসির রায় ঘোষণা হয়, তখন তৎকালীন ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বজনমত সংগঠিত করার জন্য পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন, সেজন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতাভরে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর অবদানকে স্মরণ করি’।

১৯৭১ সালে ভারতের মানুষ বাংলাদেশিদের জন্য তাদের আঙ্গিনার দুয়ার যেভাবে খুলে দিয়েছিলো, তেমনি তাদের হৃদয়ের দুয়ারও খুলে দিয়েছিলো উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এককোটি মানুষ ভারতের যে বিভিন্ন পরিবারের সাথে আশ্রিত ছিলো, তারা তাদেরকে বোঝা মনে করেনি, পরম আপন ভেবে আশ্রয় দিয়েছিলো। ভারতের শিল্পী, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, খেলোয়াড় সবাই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন। কোলকাতা, আগরতলা, দিল্লীসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তয় তারা আমাদের শরণার্থীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন। তাই ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী চিরঅম্লান এবং এই মৈত্রী রক্তের অক্ষরে লেখা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী একটি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের দুর্যোগ, দুর্বিপাকে ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, আমরাও সামর্থ্য অনুযায়ী ভারতের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি -এভাবেই বন্ধুত্ব সুদৃঢ় হয়। উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বৃদ্ধি করার মধ্যেই এ অঞ্চলের উন্নয়ন নিহিত উল্লেখ করে  বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রীতি পরিষদ দু’দেশের মধ্যে আরো বেশি সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান ও দু’দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।

সম্পর্কিত খবর

বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সমস্যা চায় না ভারত : মোমেন

gmtnews

ভূমিকম্পে কাঁপল ইয়াঙ্গুন

Hamid Ramim

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা মিশন, পশ্চিমের সতর্ক দৃষ্টি

Hamid Ramim

মন্তব্য করুণ

এই ওয়েবসাইটটি আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কুকি ব্যবহার করে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে আপনি এটির সাথে ঠিক আছেন, তবে আপনি ইচ্ছা করলেই অপ্ট আউট করতে পারেন। স্বীকার করুন বিস্তারিত