তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উন্নয়নের মূলধারায় নারীদের সমান অংশগ্রহণ ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অগ্রগামী।
গতকাল শুক্রবার গোল-ই-আফরোজ সরকারি কলেজ মাঠে মহিলা আওয়ামী লীগের সিংড়া উপজেলা ও পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাফিয়া খাতুন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটোর ও নওগাঁ জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি রতœা আহমেদ এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিরীন রুখসানা।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিংড়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীমা হক রোজী।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘নারী আসন’ সংরক্ষণ করেন। এছাড়াও তিনি (বঙ্গবন্ধু) ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেন। স্বাধীনতার পরে বিচার বিভাগে নারীদের নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বৃদ্ধি করেছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের ৬০ শতাংশ চাকুরীর সুযোগও তৈরী করে দেন। যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে এইচএসসি পাশ করে একজন মেয়ে খুব সহজেই কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। ফলশ্রুতিতে, যৌতুকের ব্যাধি থেকে মেয়েরা রক্ষা পেয়েছেন। তাঁর পরিবার এখন মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে সমাজে বসবাস করেন।
পলক বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সরকারে আসীন হয়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত বিচার বিভাগে একজন নারী বিচারপতিকে সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। আমাদের সরকার জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার পাশাপশি মায়ের নাম সংযোজন করে দিয়েছেন। এভাবেই নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
তিনি আরও বলেন, সরকারের কার্যকরি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার ফলে অগ্রগামী অবস্থানে অবস্থান করছেন নারী। প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়ার ফলে নারীরা ছেলেদের সাথে সমান্তরালে অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করে অর্থ উপার্জনের পাশপাশি দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদকেও সুসংহত করছেন। এখন আর ‘নাটোরের পুঠিয়ার মহিমার মত কোন নারী’কে দূর্ভাগ্যবরণ করতে হয়না।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরে সংবিধানে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা-এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদা পূরণের অঙ্গিকার সন্নিবেশিত করেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের উন্নয়নে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ আছে বলেই দেশ এখন দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।