চীনের দক্ষিণাঞ্চলে পার্বত্য গুয়াংজি ঝুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে গতকাল ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
চীনের আঞ্চলিক জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমান কুনমিং থেকে উড্ডয়ন করে গুয়াংঝুর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এটি উঝো নগরীর তেংজিয়ান কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়।
চীনের এভিয়েশন প্রশাসন ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৩২ জন আরোহী ছিল। তাদের ১২৩ জন যাত্রী ও বাকিরা ক্রু সদস্য।
প্রশাসন জানায়, উঝো ফায়ার ব্রিগেড ২৩টি অগ্নি নির্বাপন ট্রাক সহ ১১৭ জন দমকল কর্মীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে। আঞ্চলিক দমকল বিভাগ জানিয়েছে, “গুয়াংজির অন্যান্য স্থান থেকে আরও ৫৩৮ অগ্নিনির্বাপক কর্মীকে উদ্ধার কাজে পাঠানো হচ্ছে।”
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাওয়ার সময় গুয়াংজি প্রদেশের পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। কেউ বেঁচে নেই বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে হতাহতের সংখ্যা ও দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।
সম্ভবত স্থানীয়দের ধারণ করা অনেকগুলো ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। এসব ভিডিওতে বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাহাড়ের চারপাশে ছড়িয়ে থাকতে এবং দুর্ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিশিখা ও ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এ সব ফুটেজ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেছে।
অনলাইনে পোস্ট করা ফুটেজে পাহাড়ি, জঙ্গলময় এলাকা থেকে ধোঁয়া ওঠায় কর্দমাক্ত, পাহাড়ি এলাকায় বিমানের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চাইনিজ এয়ারলাইন্সে নিরাপত্তা রেকর্ড খুবই ভালো। ১২ বছর আগের সর্বশেষ বড় দুর্ঘটনায় হারবিন থেকে আসা একটি ফ্লাইট ইচুনে বিধ্বস্ত হলে ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছিল। চায়না ইস্টার্ন এখনও দুর্ঘটনা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।
বিবিসি ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইট জানিয়েছে, বিমানটি মাত্র এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে উড়ছিল এবং উঝোতে দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ার সময় এটি তার গন্তব্যের কাছাকাছি ছিল।
ফ্লাইট রাডার-২৪-এর তথ্য অনুসারে, ফ্লাইটটি সর্বশেষ স্থানীয় সময় ১৪ টা ২২ মিনিটে ৩,২২৫ ফুট উচ্চতায় ছিল।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, বিমানটির বয়স ৭ বছরেরও কম এবং ২০১৫ সাল থেকে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স এটি পরিচালনা করছিল।