মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলার ৩৮তম আসর। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমিতে বইমেলা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। কঠোরভাবে মানা হবে স্বাস্থ্যবিধি। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করা যাবে না বইমেলায়। লাগতে পারে টিকা সনদও।
মেলা চলার কথা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে প্রকাশকরা দাবি করছেন ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা চালু রাখার জন্য। তবে সময় বাড়বে কি না তা জানা যাবে ২২ বা ২৩ ফেব্রুয়ারিতে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সচিব মো. আবুল মনসুর, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা, বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ প্রমুখ।
এবার বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না।
ছুটির দিন বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১ ফেব্রুয়ারি মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় ও চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সময় বাড়ানোও হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বর্গফুট জায়গায়। মেলায় ৩৫টি প্যাভিলিয়ন থাকবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় ভার্চুয়ালি অমর একুশে বই মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও দেওয়া হবে। এ বছর ১১টি ক্যাটাগরিতে মোট ১৫ জন গুণী সাহিত্যিক এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্বাধীনতার মর্মবাণী সবার মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু-গ্রন্থভুক্ত হস্তলিপি বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যবহার করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ বাস্তবায়ন কমিটি একটি প্যাভিলিয়ন নিয়েছে।