বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন এবং দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সহযোগিতা করবে ভারত।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী’র সাথে এক মতবিনিময় সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
ভারতীয় হাই-কমিশনার দুই দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরো দৃঢ় এবং আইসিটি সেক্টরসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারীত্ব বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার কথা বলেন।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অসামান্য অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস পেয়েছে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে আইসিটি সেক্টরে ভারতের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পে ভারত সরকার ঋণ প্রদান করছে। এরমধ্যে আটটি পার্ক স্থাপনের কাজ আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২২ এর মধ্যে শুরু করা হবে।
বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার (বিডিসেট) নামীয় আরেকটি প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের ৬টি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, হাই-টেক পার্ক এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টারে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে। এখান থেকে আগামী দুই বছরে ২৪০০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবে। ইন্টারনেট অব থিংস, মেশিন লার্নিং, রোবোটিক্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, এক্সটেনডেড রিয়ালিটিসহ অন্যান্য উচ্চতর বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ ছাড়াও ৩০ জনকে ৬ মাসের জন্য ভারতে আইসিটির উপর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে আরেকটি প্রকল্প চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪টি স্থানে ডিজিটাল এডুট্রেইনমেন্ট সেন্টার স্থাপনের বিষয়ে উভয় দেশ একসাথে কাজ করবে যেখানে একইসাথে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া স্টার্ট-আপ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশ ও ভারতের ৫০টি করে স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান অভিজ্ঞতা বিনিময় করবে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো স্থাপন করা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত আইটি এক্সিলারেটর (বিআইটিএ)। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। একইসাথে প্রতিটি জেলায় আইটি এক্সিলারেটর’ও স্থাপন করা হবে।
মতবিনিময় অন্ষ্ঠুানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।