মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে মেট্রো রেলের চলাচলের সার্বিক কার্যকারিতা পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করছে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক গতকাল বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত মেট্রো রেল পথের সার্বিক কার্যকারিতা ও সমন্বিত পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য এবং পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে মেট্রো ট্রেনের ২৪ সেটের মধ্যে ১০টি নিয়ে এসেছি।’
‘আরো মেট্রো ট্রেন সেট শিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত রয়েছে’ -একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বপ্নের গণপরিবহন মেট্রো রেল এই বছরের বিজয়ের মাস থেকে উত্তরা-আগারগাঁও রুটে যাত্রা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রো রেল নির্মাণের প্রথম ধাপের বাস্তব নির্মাণ অগ্রগতি ৯০ দশমিক ০৮ শতাংশ এবং সার্বিক নির্মাণ অগ্রগতি ৭০ দশমিক ০৪ শতাংশ ।
তারা জানান, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৭৩.০৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যেখানে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক ব্যবস্থার সম্মিলিত অগ্রগতি এবং রোলিং স্টক (রেল কোচ) ও ডিপোর যন্ত্রপাতি সংগ্রহের অগ্রগতি ৭০.৯১ শতাংশ।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ উত্তরা ডিপো থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রো রেলের ভায়াডাক্ট কার্যকারিতা পরীক্ষা শুরু করেছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের প্রথম ‘মেট্রো ট্রেন’ ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে তার বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করবে।’
তিনি বলেন, কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে করোনভাইরাস মহামারীর সময়েও মেট্রো রেল স্টেশনগুলোর নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিধি মেনে চলমান কাজের গতি অব্যাহত থাকলে সময়মতো রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।
প্রাথমিকভাবে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেল রুটের দৈর্ঘ্য ছিল ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। পরে এটি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয় এবং ১.১৬ কি.মি বর্ধিত করা হয়। ফলে স্টেশনের সংখ্যাও ১৬-তে উন্নীত হয়।
উত্তরা থেকে মতিঝিল-কমলাপুর রেলওয়েস্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করা যাবে এবং এই মেট্রো রেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশনের মধ্যে আট স্টেশনের রুফ টপ স্টিলের কাজ শেষ হয়েছে এবং নয়টি স্টেশনের যান্ত্রিক, বৈদ্যুতিক ও প্লাম্বিংয়ের কাজ চলছে।
এছাড়া বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী প্রবেশ ও প্রস্থান কাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে।