এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও পরাজিত হয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়াকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে লাল সবুজের দলটি। গতকাল মওলানা ভাসানি জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এগিয়ে যাবার পরও সফরকারীদের কাছে ৩-২ গোলে হার মেনেছে গোবিনাথন কৃষ্ণমুর্তির শিষ্যরা।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে আরশাদ হোসেনের ফিল্ড গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গোলের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
দারুণ শুরুর পর বলের দখলদারিত্ব ধরে রেখে খেলতে থাকে স্বাগতিকরা। প্রথম কোয়ার্টারে দুটি ভাল সুযোগ তৈরি হয়। তৃতীয় সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় কৃষ্ণমূর্তির দল। গোল করার পর বলের দখল হারায় বাংলাদেশ। সুযোগ নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে কোরিয়া। ১৫ মিনিটে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে অতিথি দলকে সমতায় ফেরান জ্যাং জং ইয়োন। দ্বিতীয় কোয়ার্টার ছিল গোলশূন্য। এসময় বাংলাদেশ একটি পেনাল্টি কর্নার পেলেও তা গোলে পরিণত করতে পারেনি।
তৃতীয় কোয়ার্টারে দুটি পিসি পায় কোরিয়া। প্রথমটি প্রতিহত করেন বাংলাদেশ দলের মিডফিল্ডার সারোয়ার হোসেন। পরেরটি বাইরে মেরে সুযোগ নষ্ট করে অতিথি দল। এ কোয়ার্টারও গোলশূন্য ছিল। চতুর্থ কোয়ার্টারে এসে কাঙ্খিত লিড পায় কোরিয়া। জি ও চিওনের গোলে স্কোরলাইন ২-১ করে অতিথি দল। ইয়াং জি হুনের হিট সার্কেলের মধ্যে থেকে ষ্টিকে দিক পরিবর্তন করে জালে পাঠান ২৭ বছর বয়সী জি ও চিওন। ৫৪ মিনিটে পার্ক চিও লিনের ফিল্ড গোলে স্কোরলাইন ৩-১ করে কোরিয়া। ৫৯ মিনিটে দ্বীন ইসলাম ইমন ফিল্ড গোল করে ব্যবধান কমালেও সমতায় ফেরা হয়নি বাংলাদেশের।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ম্যাচে ২৩ গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ২০১৩ সালের এশিয়া কাপে ৯-০, ২০১৪ সালের এশিয়ান গেমসে ৭-০ ও ২০১৭ সালে ঢাকা এশিয়ান গেমসে ৭-০ গোলে তাদের কাছে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। এই প্রথম দলটির জালে দুই গোল দিতে সক্ষম হল বাংলাদেশ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন স্বাগতিক খেলোয়াড় বিপ্লব কুজুর।