বার্সেলোনার সময়টা ভালো কাটছে না মোটেও। লিগ টেবিলে শীর্ষ চারেও নেই, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে ইতোমধ্যেই। সে বাজে ফর্মটা কাতালানরা এবার টেনে আনল ডিয়েগো ম্যারাডোনার সম্মানে খেলা প্রীতি ম্যাচটাতেও। আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের কাছে পেনাল্টি শ্যুটআউটে হেরেছে ৪-২ গোলে।
দলের বাজে ফর্ম থাকলেও কোচ জাভির কাছে এই ম্যাচ ছিল পরীক্ষানিরীক্ষারই। সেটা বার্সেলোনা কোচ কাজেও লাগিয়েছেন দারুণভাবেই। বেশ কিছু তরুণ তুর্কিকে বাজিয়ে দেখেছেন, পুনরাভিষেক ঘটেছে চিরতরুণ দানি আলভেসের। ফিরে এসেই আলো ছড়িয়েছেন তিনি।
সঙ্গে মিডফিল্ডার রিকি পুজও দিয়েছেন আস্থার প্রতিদান, যদিও দুটো গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফেলিপে কৌটিনিও খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন গোলের। তবে গোলের দেখা অবশ্য পাননি তিনি। তাতে দলেরও গোলখরা কাটেনি। প্রথমার্ধ শেষ করেছে গোলখরা নিয়েই।
গোলহীন ৪৫ মিনিটের পর দ্বিতীয়ার্ধে দলটির গোলের অপেক্ষা শেষ হয় তরুণ ফেরান ইয়ুতলার আগুনে এক শটে। ৫০ মিনিটে বক্সে বলটা পেয়েই ডান কোণায় দারুণ এক শট নেন তিনি, তাতেই মেলে গোল। তবে আরও এক গোল পেতে পারতেন তিনি, সুযোগ পেয়েছিলেন বদলি হিসেবে নামা ইলিয়াস আখোমাচও।
তবে এরপরই বোকা জুনিয়র্স ম্যাচে ফেরে দারুণভাবে। ৭৭ মিনিটে তারই ফল পায় আর্জেন্টাইন ক্লাবটি। ফ্র্যাঙ্ক জাবরার ক্রসে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন তরুণ ফরোয়ার্ড এজেকিয়েল জেবায়োস। তাতেই ম্যাচটা চলে যায় পেনাল্টিতে।
টাইব্রেকারে তরুণদেরই পাঠিয়েছিলেন জাভি। তবে তারা কোচের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মোটেও। ম্যাতায়াস পেরেইরার শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন বোকার আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক অগাস্তিন রসি। আর গিলেম হাইমের শট গেছে বারের ওপর দিয়ে। ইয়ুতলা আর আলভেস অবশ্য ঠিকই জালের দেখা পেয়েছিলেন এর আগে। তবে বোকা নিজেদের চার শটের সবগুলোই কাজে লাগিয়েছে যথাক্রমে মার্কোস রোহো, কার্লোস ইজকিয়েরদস, ক্রিশ্চিয়ান পাভন আর অ্যারন মলিনাসের কল্যাণে।
তাতেই আরও একটা হারের যন্ত্রণায় পোড়ে বার্সা। আর ম্যারাডোনার দুই সাবেক ক্লাবের লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে বোকা।