কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে উল্লেখ করে বলেছেন, সারের কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করা হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি ৩০ দিন অব্যাহতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
তিনি সারের মজুদ সম্পর্কে বলেন, ডিসেম্বর মাসে ইউরিয়া সারের চাহিদা ৩ লাখ ১ হাজার ৯০২ মেট্রিক টন, মজুত রয়েছে ৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের চেয়ে ৫ লাখ টনেরও বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী এ সব তথ্য তুলে ধরেন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারের মজুদ নিয়ে কৃষিমন্ত্রী আরও জানান, টিএসপির ডিসেম্বর মাসে চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার টন, বিপরীতে মজুত ১ লাখ ৯২ হাজার টন, ডিএপির চাহিদা ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬১২ টন, বিপরীতে মজুত ৫ লাখ ৯৬ হাজার টন এবং এমওপির চাহিদা ১ লাখ ২৯ হাজার ১৮৫ টন, বিপরীতে মজুত রয়েছে ৩ লাখ ১২ হাজার টন।
তিনি বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে ডিলার, ব্যবসায়ী, দোকানদার বেশি দামে সার বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বোরো মৌসুমের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সব রকমের আগাম প্রস্তুতি রয়েছে।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। যে সারের মূল্য টনপ্রতি ৩০০ ডলার ছিল, তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৯৬৪ ডলার। আন্তর্জাতিক সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে আমাদের মতো দেশগুলোকে শোষণ করছে। আর সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা গুজব ছড়িয়ে কোথাও কোথাও এলাকাভেদে বিচ্ছিন্নভাবে সারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।