নবায়নযোগ্য শক্তি সম্প্রসারণ এবং গ্রিন হাউস গ্যাস কমানোর জন্য বিশ্বব্যাপী প্রয়াসের অংশ হিসেবে সরকার নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন উৎসাহিত করছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জমি ব্যবহার করতে হয় এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে মিশ্র জ্বালানির ব্যবহার চালু করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো হাইড্রোজেনকে জ্বালানিতে রূপান্তরের জন্য কাজ করছে। এখন সামুদ্রিক শক্তি, বায়ুশক্তি এবং ছাদের ওপর সৌর ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করার সময়।’
নসরুল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী পরিবেশসম্মত ও দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহারের অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন সারাদেশে ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম (এসএইচএস) স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে ৭৩০.৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
তিনি বলেন, সরকার সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে দুই কোটি প্রান্তিক মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে এবং দেশে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস সম্প্রসারণ ও স্থাপনের সরকারি প্রচারণার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসের অনুপাত ৪০ শতাংশ হবে।
নসরুল আরো বলেন, ‘সৌর সেচ, সৌর মিনি গ্রিড, বায়ু শক্তি, বর্জ্য শক্তি ইত্যাদি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চলছে।’
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার বিদ্যুৎ খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির অনুপাত বাড়াতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে প্রণোদনা প্রদানসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তারা বলেন, মুজিববর্ষের মধ্যে ১০০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আসছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,২৩৫ মেগাওয়াটে পৌঁছার ফলে প্রায় ৯৯.৭৫ শতাংশ মানুষ ইতিমধ্যে বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে।
বর্তমানে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বলানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার আওতায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি ইনস্টলেশন ক্ষমতা ৭৩০.৩২ মেগাওয়াট, যার মধ্যে ৪৯৬.৩৯ মেগাওয়াট সৌর শক্তি থেকে আসে।