দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী উইমব্লেডনের লর্ড (তারিক) আহমেদ গতকাল বলেছেন, স্থায়ী সদস্য হিসেবে ব্রিটেন রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ-ইউকে : পার্টনার্স ইন প্রগ্রেসেস’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি আশ্বাস দিচ্ছি যে আমরা জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি উত্থাপনে বিলম্ব করবো না।’
তিনি বলেন, এই রোহিঙ্গা সংকট রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবলমাত্র সমাধান হবে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্য ‘দুঃখজনকভাবে’ অন্যান্য সদস্য দেশের সহযোগিতা ছাড়াই ইউএনএসসি’তে তুলেছি।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী স্বেচ্ছায় ভাসান চর দ্বীপে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরকে সঠিক বিকল্প হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি আশা করেন যে জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে একটি কাঠামোর আওতায় কাজ করবে।
তিনি জোরপূর্বক বিতাড়িত নিগৃহীত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক আচরণের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
লর্ড আহমেদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে তিন দিনের এক সফরে এখানে এসেছেন। তিনি যুক্তরাজ্য প্রধানমন্ত্রীর স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ অন প্রিভেন্টিং সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স ইন কনফ্লিক্ট।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনসহ সরকারের আরো কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ সফরকালে তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিও বিভিন্ন সুযোগ, আন্তরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু প্রকল্পে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতার ব্যাপারে ইউকে ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বের আগামী ৫০ বছরের তার আশা-আকাঙ্খা নিয়ে আলোচনা করেবেন।
গতকাল ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বক্তব্যে লর্ড আহমেদ ঘোষণা দেন যে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে সহযোগিতায় ৫৪ মিলিয়ন (প্রায় ৬২২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ করবে।